শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ০.০৫ মিটার নিচে

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় এর তীরবর্তী সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী, চরমোচারিয়া ও কামারেরচর ইউপিসহ কয়েকটি ইউপির প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে অর্ধলাখ মানুষ নানাভাবে সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছেন। ১৮ জুলাই ওই নদের পানি বিপদসীমার ০.০৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

চরমোচারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদুজ্জমান বলেন, তার এলাকার মুন্সিরচর, নলবাইদ, চরভাবনা, কেন্দুয়ারচর, চান কাসার, হরিণধরা, মাছপাড়া, ধাতিয়াপাড়া এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে। লোকজন এখন নৌকা এবং কলাগাছের ভেলায় করে শুকনোস্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

তার ইউনিয়নে দশ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আজ কালের মধ্যেই তিনি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

চরপক্ষীমারী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হানিফ বলেন, এ এলাকার জঙ্গলদি, বেপারীপাড়া, সাতপাকিয়া, কুলুরচর, বলাইয়েরচর, ভাগলগড়, কামারেরচরের ৫ ও ৬ নম্বর চর, বেতমারীসহ আশপাশের দশ পনেরটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া পানির তীব্রতা বাড়তে থাকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর ফলে অর্ধলাখ মানুষ নানাভাবে সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছেন।

বন্যার পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন বলেন, বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত দুটি ইউনিয়নে ১২ টন চাল দেওয়া হয়েছে। এর সাথে আলু, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএই) জিয়াসমিন খাতুন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ০.০৫, চেল্লাখালি নদীর পানি ০.৯৪, ভোগাই নদীর পানি ২.৮৪ ও নাকুগাঁও নদীর পানি ৪.২৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।