শেরপুরে রফিক হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রফিক হত্যা মামলার পালিয়ে থাকা সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে নিহতের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে রফিক হত্যা মামলার পালিয়ে থাকা সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে নিহতের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।

১৫ জুলাই বিকেলে শেরপুরের নকলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম। এসময় নিহতের পরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনরাসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শেরপুর সদর উপজেলার চক আন্ধারিয়া গ্রামের চায়রা বিলের মাছের প্রকল্পের পূর্বপাশের পুকুর পাড়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী খন্দকারপাড়া (মরাকান্দা) গ্রামের রফিক মিয়াকে। পরে এ ঘটনায় ২৯ মার্চ শেরপুর সদর থানায় নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম আরও বলেন, থানায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান স্বাক্ষী নুরুজ্জামান। তিনি শেরপুর জজ কোর্টে রেকর্ড সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের সাথে নুরুজ্জামান জড়িত। নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার ছেলে হাফিজুর রহমানকে বাদী বানিয়ে নিজে প্রধান স্বাক্ষী হয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা আমি জানতে পেরে বিজ্ঞ সিআর আমলি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। পিটিশন মোকাদ্দমা নং- ৮৯/২০২০। আমার স্বামীকে যারা ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার এবং ফাঁসি চাই।

এদিকে নুরুজ্জামান বলেন, আমাকে প্রধান স্বাক্ষী করে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান। কিন্তু তিন মাস পর আমাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন আদালতে। তারা বলতেছে এই হত্যাকান্ডের সাথে আমি জড়িত। এতদিন তারা কি করল। তারাতো আমাকে প্রথমেই আসামি দিতে পারতো। তারা যাই করতেছে তা অন্যোর পরামর্শে ও অর্থের লোভে। আমার কাছে টাকা চেয়েছিল বাদী পক্ষ। দেইনি বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করতেছে তারা। হত্যাকান্ডের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।