ইসলামপুরে কমছে বন্যার পানি, দুর্গম চরে ত্রাণ বিতরণ

বন্যার্তদের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিতরণ করেন সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনায় বন্যার পানি হ্রাস পেলেও লাখো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বানভাসিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এদিকে গুঠাইল বাজার, আমতলী বাজার, ডেবরাইপ্যাচ, বামনা, শিংভাঙ্গা, উলিয়া, সোনামুখির রাস্তাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সাথে পশ্চিমাঞ্চলের মাহমুদপুর, উলিয়া, গুঠাইল সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলো গবাদি পশু নিয়ে বিভিন্ন উচু স্থানে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি হাঁস, মুরগিসহ গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

বন্যার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ৭২ সেন্টিমিটারে উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ২ জুলাই দিনব্যাপী সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বন্যা কবলিত এলাকা কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা, বেড়কুশা, হরিনধরা, টিনেরচর বানভাসি ৬০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিতরণ করেছেন।

এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, রোজিনা আক্তার চায়না, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক আবু তাহের, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাকিব রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক লাল মিয়া, কুলকান্দি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান জুবায়দুর রহমান দুলাল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, কর্মবীর সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলালসহ আমরা সব সময় বন্যা কবলিত মানুষের পাশে রয়েছি। বন্যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বন্যায় আক্রান্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেব।