বকশীগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দশানী নদীতে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের পাট খেতগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর পানি বেড়েছে। এর প্রভাবে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষ।

জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে জামালপুর উত্তরাঞ্চলে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। সেই সাথে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল এসে নদ-নদীতে মিশে যাচ্ছে। এ কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদী ভরে গিয়ে এ পানি ছড়িয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে।

গত দুই দিন ধরে দ্রুত গতিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আগাম বন্যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলা করায় যখন মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন তখন নতুন করে বন্যা দেখা দেওয়ায় তা কিভাবে মোকাবেলা করবেন তা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।

নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মদনের চর, বিলের পাড়, ডেরুরু বিল, চর গাজীরপাড়া, উত্তর আচ্চাকান্দি, কতুবের চর, বাংগাল পাড়া, নয়াবাড়ি, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী গ্রাম, মেরুরচর ইউনিয়নের মাইছানিরচর, ভাটি কলকিহারা, উজান কলকিহারা, পূর্ব কলকিহারা, চিনারচর, বাঘাডুবি, খেওয়ারচর, ঘুঘুরাকান্দি ও ফকিরপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া ও আগাম বন্যার বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যার পানি বাড়তে থাকলে সবাইকে নিয়ে বন্যা মোকাবেলায় কাজ করা হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরও প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।