ইসলামপুরে মওলা আলী (রা.) উফাত দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মওলা আলী (রা.) উফাত দিবস স্মরণে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

মওলা আলী (রা.) উফাত দিবস স্মরণে আলোচনা সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামালপুরের মেলান্দহ দুরমুট শাহ কামাল (রা.) মাজার শরিফে ১৫ মে আলী (রা.) উফাত দিবস স্মরণে আলোচনা সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাক্তন শিক্ষক মুমিন মাস্টারের সভাপতিত্বে এতে ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার চায়না, ইসলামপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, কবি ও সাহিত্যিক আবদেল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন শাহসহ আশেকার জাকেরানবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ যে, পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে উল্লেখিত চারজন খোলাফায়ে রাশেদীনের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন হযরত আলী (রা.)। তিনি তার অনন্য মহিমা নিয়ে তার আলোর দীপ্তি ছড়িয়েছেন সকলের জন্য। ওনার মুখ নিঃসৃত মহামূল্যবান বাণীসমূহের মাধ্যম।

ইমাম আলী (রা.) মক্কার পবিত্র কাবা মসজিদের ভিতরে, ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিশু বয়স থেকেই তিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সঙ্গে লালিত-পালিত হন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রথম নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম পুরুষ যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ও পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে নামাজ আদায় করতেন। হযরত আলী (রা.) প্রথম থেকেই মুহাম্মদ (সা.) কে রক্ষা করেছিলেন এবং প্রায় সকল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য মুহাম্মদ (সা.) তাকে ‘জুলফিকার’ নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামুস দুর্গ জয় করলে মহানবী (সা.) তাকে ‘আসাদুল্লাহ’ বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দেন। মদিনায় হিজরতের পরে তিনি মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা ফাতিমা (রা.) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৬৫৬-৬৬১ সাল পর্যন্ত চতুর্থ খলিফা খুলাফায়ে রাশেদিন হিসাবে শাসন করেছিলেন। ৬৬১ সালে নামাজ পড়ার সময় কুফার মসজিদেএকটি খারিজি তাকে আক্রমণ করেন । এই আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন।