জামালপুরে মা-মেয়ে, বেসরকারি হাসপাতালের এমডিসহ নতুন পাঁচজনের করোনা পজেটিভ  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদরে একই পরিবারের মা-মেয়ে এবং শহরের একটি ব্যস্ততম বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) নতুন করে আরো পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জামালপুর সদর হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স ও আরেকজন নার্সের স্বামী রয়েছেন। ৫ মে রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাদের করোনা পজেটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮১ জন করোনার রোগী শনাক্ত হল।

জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে ৫ মে রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে পাঁচজনের নমুনায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় গত ৩০ এপ্রিল করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়া এক নারীর সংস্পর্শে আসা নিকটাত্মীয় মা ও মেয়ে রয়েছেন। আগে আক্রান্ত হওয়া ওই নারী শহরের খামারবাড়ি এলাকায় তার নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। তার ২৯ বছর বয়সের সহোদর বোন ও ওই বোনের ১৩ বছরের মেয়ের বাসা শহরের দেওয়ানপাড়ায়। মেয়েটি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ব্যস্ততম ও শহরে সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হযরত শাহ জামাল (রহ:) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বয়স ৩৮ বছর। তিনি শহরের বানাকুড়া এলাকায় তার নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। তার হাসপাতালটির অবস্থান শহরের ব্যস্ততম পাঁচরাস্তার মোড় এলাকায়। তার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় হাসপাতালটির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত অপর দু’জনের মধ্যে জামালপুর সদর হাসপতালের ৩৪ বছর বয়সের একজন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্সের বাসা শহরের পাথালিয়া এলাকায় এবং অন্যজন হলেন একই হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্সের স্বামী, যার বয়স ৩৪ বছর। এই নার্স দম্পতির বাসা শহরের বগাবাইদ এলাকায়।

জামালপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ও সদর ইউএইচএফপিও চিকিৎসক মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান এ প্রতিবেদককে জানান, ৫ মে নতুন করে আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্সকে ৬ মে সকালে তার বাসা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ভর্তি করা হবে। দেওয়ানপাড়ার মা-মেয়ে এবং বগাবাঈদ এলাকার স্টাফ নার্সের স্বামীকে তাদের নিজনিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, করোনায় আক্রান্ত বেসরকারি হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আইসোলেশনে রাখাসহ হাসপাতালটিতে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ এমনকি হাসপাতালটি লকডাউন করা হবে কিনা-এ সব বিষয়ে ৬ মে সকালে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নতুন করে এই পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ জনে দাঁড়ালো বলেও তিনি জানান।