জামালপুরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ করোনায় নতুন আক্রান্ত ৩, জেলায় মোট ২৪

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলায় ১৮ এপ্রিল একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে তিনজনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে জেলার ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। বাকি দু’জনের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ২৪ জন। জামালপুরের সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া ১৩ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নতুন এই তিনজনের মধ্যে একজন হলেন জেলার ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (অ্যানেসথেটিস্ট)। তার বয়স ২৬ বছর। ১৬ এপ্রিল সর্বশেষ তিনি ইসলামপুর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই দিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি জামালপুর শহরে তার নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।

করোনায় আক্রান্ত অন্য দু’জনের মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজারের রোদসী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের নারী কর্মীর (২৮) বাড়ি উপজেলার চর পারকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া সরকারবাড়ি গ্রামে। তিনি বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছেন। তবে ১৮ এপ্রিল সারাদিন তিনি তার কর্মস্থলে ছিলেন। একই উপজেলার কড়ুইচূড়া ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামে আক্রান্ত যুবকটির বয়স ৩৮ বছর। সপ্তাহ খানেক আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে তার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।

নতুন আক্রান্ত এই তিনজনের মধ্যে ইসলামপুর হাসপাতালের চিকিৎসককে জামালপুর শহরে তার বাসায় আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে এবং মাদারগঞ্জের দু’জনকে ১৮ এপ্রিল রাতেই জামালপুর সদর হাসপতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত মেডিক্যাল অফিসারকে তার বাসায় আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু উনি নিজেই একজন চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তবে তিনি কোনো অসুবিধা বোধ করলে তাকে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হবে। এছাড়া মাদারগঞ্জের এক নারীসহ আক্রান্ত দু’জনকে রাতেই জামালপুরে আনার প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে পরিস্থিতি বুঝে তাদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি করে বাড়ি লকডাউন এবং নতুন আক্রান্ত এই তিনজনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্ট দুই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।’

সিভিল সার্জন আরো জানান, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত করোনার উপসর্গ সন্দেহে জেলায় মোট ৪১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সবগুলো নমুনা পরীক্ষায় নতুন তিনজনসহ জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। তাদের মধ্যে মৃত দুই নারীর দেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।