ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে জামালপুরে নিহত দুই পরিবহন শ্রমিক পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা নালিতাবাড়ী সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের পাশে মাদারগঞ্জের যুবদলনেতা মোখলেছ এসএসসি : মাদারগঞ্জে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি এসএসসি : ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা জামালপুর, পাশের হার ৬০.১৯ % বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ সাতজনকে পুশইন

মেলান্দহে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, থানায় মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে দোকানের ভেতরে আটক রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মো. রইছ উদ্দিন (৫০) নামের এক মুদিদোকানি। ৮ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে ওই ছাত্রী ৮ ডিসেম্বর তার বাংলা বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনায় ধর্ষণের চেষ্টাকারী মো. রইছ উদ্দিনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের দিনমজুর পরিবারের মেয়েটি স্থানীয় গুমরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। পথে তেলিপাড়ায় সোহেল বাজারে রইছ উদ্দিনের মুদি দোকানে একটি কলম কিনতে গেলে দোকানদার তাকে কৌশলে দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। কিছুক্ষণ পর রইছ উদ্দিন ভেতর থেকে দোকানের সব ঝাপ বন্ধ করে দেন।

একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে তিনি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই দোকানের ভেতরে শিশুর ডাকচিৎকার শুনে বাজারের লোকজনদের সন্দেহ হয়। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দোকানদারকে ডাকাডাকি করলেও তিনি ভেতর থেকে দরজা খোলেন না। একপর্যায়ে রইছ উদ্দিন দোকানের ঝাপ ভেঙে হাতে লোহার শাবল নিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে দোকানের ভেতরে মেয়েটিকে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রইছ উদ্দিনের দোকান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার দরিদ্র দিনমজুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওই দোকানদার রইছ উদ্দিনকে আসামি করে ৮ ডিসেম্বর রাতে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রইছ উদ্দিন স্থানীয় মৃত আব্দুল শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমার শিশু মেয়েটারে সর্বনাশ করতে চাইছিল রইছ উদ্দিন। আমার মেয়ে আইজকা বার্ষিক পরীক্ষাও দিবার পায় নাই। দোকানের মধ্যে আটকাইয়া মেলা ভয় দেখাইছে তারে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন ‘শিশুটিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে সে জানিয়েছে। শিশুটি বর্তমানে তার বাবার জিম্মায় রয়েছে। তার বাবার দায়ের করা মামলাটির একমাত্র আসামি দোকানদার রইছ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন

মেলান্দহে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, থানায় মামলা

আপডেট সময় ১০:০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে দোকানের ভেতরে আটক রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মো. রইছ উদ্দিন (৫০) নামের এক মুদিদোকানি। ৮ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে ওই ছাত্রী ৮ ডিসেম্বর তার বাংলা বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনায় ধর্ষণের চেষ্টাকারী মো. রইছ উদ্দিনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের দিনমজুর পরিবারের মেয়েটি স্থানীয় গুমরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। পথে তেলিপাড়ায় সোহেল বাজারে রইছ উদ্দিনের মুদি দোকানে একটি কলম কিনতে গেলে দোকানদার তাকে কৌশলে দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। কিছুক্ষণ পর রইছ উদ্দিন ভেতর থেকে দোকানের সব ঝাপ বন্ধ করে দেন।

একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে তিনি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই দোকানের ভেতরে শিশুর ডাকচিৎকার শুনে বাজারের লোকজনদের সন্দেহ হয়। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দোকানদারকে ডাকাডাকি করলেও তিনি ভেতর থেকে দরজা খোলেন না। একপর্যায়ে রইছ উদ্দিন দোকানের ঝাপ ভেঙে হাতে লোহার শাবল নিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে দোকানের ভেতরে মেয়েটিকে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রইছ উদ্দিনের দোকান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার দরিদ্র দিনমজুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওই দোকানদার রইছ উদ্দিনকে আসামি করে ৮ ডিসেম্বর রাতে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রইছ উদ্দিন স্থানীয় মৃত আব্দুল শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমার শিশু মেয়েটারে সর্বনাশ করতে চাইছিল রইছ উদ্দিন। আমার মেয়ে আইজকা বার্ষিক পরীক্ষাও দিবার পায় নাই। দোকানের মধ্যে আটকাইয়া মেলা ভয় দেখাইছে তারে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন ‘শিশুটিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে সে জানিয়েছে। শিশুটি বর্তমানে তার বাবার জিম্মায় রয়েছে। তার বাবার দায়ের করা মামলাটির একমাত্র আসামি দোকানদার রইছ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’