জামালপুরে অপরিণত শিশু জন্ম দিবস পালিত

জামালপুরে অপরিণত শিশু জন্ম দিবসের শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জাহাঙ্গীর সেলিম
বাংলারচিঠিডটকম

‘সময়ের আগেই জন্মগ্রহণ : সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে সঠিক সেবা প্রদান’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে ১৭ নভেম্বর জামালপুরে পালিত হয়েছে অপরিণত শিশু জন্ম দিবস। এ উপলক্ষে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত এবং উন্নয়ন সংঘ ও ইউনিসেফের সহায়তায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. রাশেদুজ্জামান, টিবি ক্লিনিকের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক স্বাগত সাহা, টিবি ও ল্যাপ্রসি চিকিৎসক সেলিনা আক্তার, ইউনিসেফ প্রতিনিধি চিকিৎসক বুশরা আমেনা, উন্নয়ন সংঘের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শতকরা ১৯ ভাগ শিশুর জন্ম হচ্ছে অপরিণত অবস্থায়। বর্তমান সরকার অপরিণত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য ক্যাংগারু মাদার কেয়ারসহ শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। জনগণকে অপরিণত শিশুর জন্মের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়ে নিরাপদ প্রসবের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নবজাতকের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে বলেও জানান বক্তারা।

বিশেষজ্ঞ আলোচকরা জানান, সন্তান গর্ভধারণের সাড়ে আট মাসের আগে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর জন্মই অপরিণত। এর মধ্যে ২৭ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু আমাদের দেশে ইদানীং সিজারের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম বাড়ছে। এ কারণে অপরিণত শিশু জন্মজনিত জটিলতায় অধিকাংশ শিশুর মৃত্যুবরণ করছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে দিবসটি জেলার সাতটি উপজেলাতেই পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে নার্সিং ইন্সটিটিউশনের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।