ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রেস সচিব বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মত ভারতের অবস্থা নেই : ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ ৪০-এর পর প্রথম গোল : রোনালদো পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে : ইলন মাস্ক ইউএসএআইডি’র কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে ১২ হাজার লাশ বৃহত্তর স্বার্থে মুসলমানদের কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নকলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে এক নারীর মরদেহ

পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণে এডিসি রাজীব কুমার

স্টেশন বাজারে পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

স্টেশন বাজারে পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

সারাদেশের পেঁয়াজের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে সাধারণ মানুষের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। জামালপুরের হাট-বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিটি দোকানেই পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও দাম হুহু করে বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করতে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার জামালপুর শহরের স্টেশন বাজার পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার ১৫ নভেম্বর বিকেলে জামালপুর শহরের স্টেশন বাজারে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি কয়েকটি দোকানে পেঁয়াজের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা তাকে জানান, জামালপুর শহরের সকাল বাজারের আড়তদারদের কাছ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে তারা বিক্রি করছেন ১৯৫ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তারা পাবনা বা উত্তরাঞ্চল থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আমদানি করা পেঁয়াজ এই বাজারে নেই। তারা জানতেও চান যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আনা আমদানি করা পেঁয়াজ কোথায় যাচ্ছে।

তারা আরো জানান, আড়তদাররা সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। যার তিন বস্তা পেঁয়াজ দরকার তাকে দেওয়া হচ্ছে এক বস্তা। পেঁয়াজ কেনার পর আড়তদাররা টাকা পরিশোধের রশিদও দিতে চান না। সকাল বাজারসহ জামালপুর শহরের বিভিন্ন আড়তদারদের দোকানে অল্প পেঁয়াজ রেখে বিক্রি করে বলা হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ আসেনি। হয়তো আড়তদাররা বাজার থেকে দূরে অজ্ঞাত স্থানের গুদামে বা বাসাবাড়িতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করেছে। সেখান থেকে অল্প অল্প করে এনে তারা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। আড়তদাররা কোথায় পেঁয়াজ মজুদ রেখেছে তা অভিযান চালিয়ে খুঁজে বের করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শুনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার আড়তদারদের গুদামের সন্ধানসহ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রেস সচিব

পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণে এডিসি রাজীব কুমার

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
স্টেশন বাজারে পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

সারাদেশের পেঁয়াজের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে সাধারণ মানুষের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। জামালপুরের হাট-বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিটি দোকানেই পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও দাম হুহু করে বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করতে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার জামালপুর শহরের স্টেশন বাজার পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার ১৫ নভেম্বর বিকেলে জামালপুর শহরের স্টেশন বাজারে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি কয়েকটি দোকানে পেঁয়াজের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা তাকে জানান, জামালপুর শহরের সকাল বাজারের আড়তদারদের কাছ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে তারা বিক্রি করছেন ১৯৫ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তারা পাবনা বা উত্তরাঞ্চল থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আমদানি করা পেঁয়াজ এই বাজারে নেই। তারা জানতেও চান যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আনা আমদানি করা পেঁয়াজ কোথায় যাচ্ছে।

তারা আরো জানান, আড়তদাররা সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। যার তিন বস্তা পেঁয়াজ দরকার তাকে দেওয়া হচ্ছে এক বস্তা। পেঁয়াজ কেনার পর আড়তদাররা টাকা পরিশোধের রশিদও দিতে চান না। সকাল বাজারসহ জামালপুর শহরের বিভিন্ন আড়তদারদের দোকানে অল্প পেঁয়াজ রেখে বিক্রি করে বলা হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ আসেনি। হয়তো আড়তদাররা বাজার থেকে দূরে অজ্ঞাত স্থানের গুদামে বা বাসাবাড়িতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করেছে। সেখান থেকে অল্প অল্প করে এনে তারা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। আড়তদাররা কোথায় পেঁয়াজ মজুদ রেখেছে তা অভিযান চালিয়ে খুঁজে বের করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শুনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার আড়তদারদের গুদামের সন্ধানসহ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।