ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

জোরপূর্বক বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী চায়না খাতুন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী চায়না খাতুন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

অবৈধভাবে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া ভুক্তভোগী মোছা. চায়না খাতুন ও তার পরিবার। ২০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে পরিবারের পক্ষে চায়না খাতুন বলেন, জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া এলাকার পাইনের মোড়ে তীর্থচন্দ্রা মৌজায় তিনি ও তার পরিবার ১৫ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। বিগত ২০১১ সালের ১০ মে এম এইচ এম শামসুদ্দোহা ও জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দসহ অনেকেই আমাদের বসতবাড়িতে ঢুকে হুমকি প্রদান করে। তারা তখন বসতবাড়িসহ জমি ক্রয় করে নেওয়ার কথা জানান। একই সাথে তারা আমাদেরকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্যও হুমকি দিয়েছিল। তাদের হুমকির ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী চায়না খাতুন তার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে থানায় ডেকে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। চায়না খাতুনের কাগজপত্র সঠিক থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ বিবাদীদেরকে ওই বসতবাড়িতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। কয়েক বছর যাওয়ার পর ২০১৫ সালের ১০ জুন জামালপুর পৌরসভার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান মিস্টারসহ কয়েকজন আবারও বাড়িঘর দখলের হুমকি দেয়।

চায়না খাতুনের বতসবাড়ি দখল করে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

একপর্যায়ে গত ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু ও সদস্য সরোয়ার হোসেন শান্তসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী চায়না খাতুনদের বসতবাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র একটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের অনেকেই এগিয়ে গেলেও ভয়ে তারা কোনো সহযোগিতা করতে পারেননি। পরে হামলাকারীরা ঘরের সামনের দেয়ালে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. নামে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী চায়না খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে বসতবাড়ি দখলমুক্ত করার দাবি জানান। চায়না খাতুনের ভুক্তভোগী পরিবারটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে বসতবাড়ি ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।

এদিকে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতিরি সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘চায়না খাতুনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই জমি সমিতির নামে ক্রয় করা হয়েছে। ক্রয়সূত্রে জমির যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

জোরপূর্বক বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৭:০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী চায়না খাতুন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

অবৈধভাবে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া ভুক্তভোগী মোছা. চায়না খাতুন ও তার পরিবার। ২০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে পরিবারের পক্ষে চায়না খাতুন বলেন, জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া এলাকার পাইনের মোড়ে তীর্থচন্দ্রা মৌজায় তিনি ও তার পরিবার ১৫ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। বিগত ২০১১ সালের ১০ মে এম এইচ এম শামসুদ্দোহা ও জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দসহ অনেকেই আমাদের বসতবাড়িতে ঢুকে হুমকি প্রদান করে। তারা তখন বসতবাড়িসহ জমি ক্রয় করে নেওয়ার কথা জানান। একই সাথে তারা আমাদেরকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্যও হুমকি দিয়েছিল। তাদের হুমকির ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী চায়না খাতুন তার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে থানায় ডেকে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। চায়না খাতুনের কাগজপত্র সঠিক থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ বিবাদীদেরকে ওই বসতবাড়িতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। কয়েক বছর যাওয়ার পর ২০১৫ সালের ১০ জুন জামালপুর পৌরসভার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান মিস্টারসহ কয়েকজন আবারও বাড়িঘর দখলের হুমকি দেয়।

চায়না খাতুনের বতসবাড়ি দখল করে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

একপর্যায়ে গত ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু ও সদস্য সরোয়ার হোসেন শান্তসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী চায়না খাতুনদের বসতবাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র একটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের অনেকেই এগিয়ে গেলেও ভয়ে তারা কোনো সহযোগিতা করতে পারেননি। পরে হামলাকারীরা ঘরের সামনের দেয়ালে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. নামে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী চায়না খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে বসতবাড়ি দখলমুক্ত করার দাবি জানান। চায়না খাতুনের ভুক্তভোগী পরিবারটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে বসতবাড়ি ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।

এদিকে সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতিরি সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘চায়না খাতুনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই জমি সমিতির নামে ক্রয় করা হয়েছে। ক্রয়সূত্রে জমির যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে।’