আওনায় কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কাজল মিয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ১৭ অক্টোবর সকালে তার নিজ কক্ষের ধর্ণায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবারের স্বজনরা। কাজল উপজেলার আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী মধ্যপাড়ার দরিদ্র কৃষক আয়েব আলীর ছেলে। স্থানীয় অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়তো সে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্র কাজল মিয়া ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতের খাবার শেষে তার নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ১৭ অক্টোবর সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে তার মা বিনা বেগম তাকে অনেকবার ডাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে কাজলকে ঘরের ধর্ণার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের স্বজনরা তাকে মৃত অবস্থায় ধর্ণা থেকে নামিয়ে স্থানীয় তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রে জানান। তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাসুদ খালিদ পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে কাজলের মরদেহের সুরতহাল করেন। কিন্তু পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ মরদেহ দাফনের অনুমতি দেন।

কাজলের শোকার্ত মা বিনা বেগম জানান, ছেলে কাজলসহ পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে কাজলকে তার ঘরের ধর্ণার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখেন। কাজলের সাথে পরিবার বা এলাকার কারো সাথেই কোনো মনোমালিন্য ছিল না। তবে সে একটু মনগড়া একঘেয়েমি স্বভাবের ছিল। কিন্তু কি কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তা তার পরিবারের কেউ নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না।

সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাসুদ খালিদ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘নিহতের সুরতহাল করার সময় তার গলায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তবে পরিবারের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’