
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
ঢাকা থেকে তিনদিন আগে প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে জামালপুর নিয়ে আসে জহুরুল (৩০) নামে এক পাচারকারী। ২৯ জুলাই রাত পৌনে একটার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার হাজিপুর এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন কিশোরীকেসহ প্রতারক জহুরুলকে আটক করে মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে। ৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তাদেরকে জামালপুর সদর থানায় পাঠানো হয়।
চেতনানাশকের বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান অবস্থায় কিশোরীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জহুরুলকে পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করে জামালপুর সদর থানা পুলিশ তাকে থানা হাজতে পাঠিয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তার জবানবন্দি অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমকে জানালে তিনি আটক প্রতারক জহুরুল এবং উদ্ধারকৃত কিশোরীকে থানায় পাঠানোর অনুরোধ করেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক ফেরদৌস হাসান বলেন, মেয়েটির যথাযথ চিকিৎসা চলছে।
পাচারকারীর তথ্য অনুযায়ী মেয়েটি বিবাহিত। স্বামী নিয়ে সে ঢাকার মধুবাগে ভাড়া বাসায় থাকে। মেয়েটির স্বামী রিকশাচালক। জহুরুলের বাড়ি সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত শহর আলী। তিনি নিজেও ঢাকায় মধুবাগে থেকে রিকশা চালান। এর আগে আরো তিনটি মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
উন্নয়ন সংঘের আইআইআরসিসিএল প্রকল্পের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মিনার পারভীন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পাচারকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।