মেলান্দহে রেলওয়ের গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১, মুক্তির দাবিতে ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও

মেলান্দহে রেলওয়ের গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছামিউল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ সংবাদদাতা
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় রেলওয়ের গাছ কাটার অভিযোগে ছামিউল ইসলাম (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ছামিউল ইসলাম মেঘারবাড়ি গ্রামের হাজী আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় ২১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে এবং ছামিউলের মুক্তির দাবি করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি।

জামালপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান, ২০ জুলাই রাতের অন্ধকারে রেলওয়ের দু’টি একাশিয়া গাছ কাটা হয়। কাটা গাছ দু’টি স্থানীয় পৌরকাউন্সিলর মোসাব্বির হোসাইন শামীমের পুকুর পাড়ে রাখে। এ বিষয়ে কাউন্সিলর শামীম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ২১ জুলাই রেলওয়ের পুলিশ ঘটনার তদন্তের জন্য এলাকায় যায়। এসময় উশৃঙ্খল জনতা হট্টগোল করে তদন্তের কাজে বিঘœ সৃষ্টি করে। তবে প্রকৃত অপরাধীকে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্তের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

কাউন্সিলর মোসাব্বির হোসাইন শামীম জানান, একটি কুচক্রি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য রাতের অন্ধকারে গাছ কাটা শেষে আমার পুকুর পাড়ে রাখে। খবর পেয়ে রাতেই যারা গাছ কাটে তাদের সনাক্ত করি এবং প্রশাসনকে জানানো হয়। বিরোধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির জন্য ওই এলাকায় একটি কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। আমি জমিদাতা। এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারি গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ পরিবেশ তৈরি করেছে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, এখানে কোনো কারখানা হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। তাই কারখানা স্থাপন করতে দিবে না। তবে পরিবেশের বিপর্যয় রোধপূর্বক কারখানা স্থাপন হলে তাদের কোনো আপত্তিও নেই বলে অনেকেই একমত হয়েছেন।

উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন, মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসিদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গ্রামবাসির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহের ঠিকাদার, আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মানিক প্রমুখ। কোনো নির্দোষীকে হয়রানি করা হবে না বলে আশ্বাস দেন উপজেলা প্রশাসন।

sarkar furniture Ad
Green House Ad