
মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
উজানের ঢলে যমুনা ও শাখা নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। উপজেলার পিংনা, আওনা, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, কামরাবাদ ও ভাটারা ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে পিংনা ইউনিয়নের দক্ষিণ নলসোন্ধা, বালিয়া মেন্দা, ডাকাতিয়া মেন্দা ও পশ্চিম মীর কুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও অফিস কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়, চর সরিষাবাড়ী বালিকা দাখিল মাদরাসা, চর জামিরা দাখিল মাদরাসা ও মালিপাড়া দাখিল মাদরাসা বন্ধ রাখা হয়েছে।
পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় জানান, তাঁর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙনে কয়েকদিন ৫০টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। চরাঞ্চলের মানুষ নিরাপদ পানি, পর্যাপ্ত খাবার ও গো-খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে।

পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন জানান, ১৬ জুলাই দুপুরে যমুনার প্রবল স্রোতে ব্রাহ্মনজানী সেতু ভেঙে গেছে। এতে সরিষাবাড়ীর সাথে কাজীপুর উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ জানান, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে এবং ২৮৪ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে। এছাড়া ২ লাখ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১ হাজারটি শাড়ি-লুঙ্গি বরাদ্দের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।