ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয়ভাবে গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় জেলা তথ্য অফিসসমূহকে কাজ করতে হবে : তথ্য উপদেষ্টা ভবিষ্যতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দেখতে চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ ইন্টারনেট সেবার দাম কমানোর ঘোষণা সামিটের ইথিওপিয়ার সাড়ে ৬ লাখ নারী ও শিশুর খাদ্য সহায়তা বন্ধ ডব্লিউএফপি’র পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১৩ উবারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সাবস্ক্রিপশন কৌশলের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে শান্তর হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ কোপা ডেল রে’র ফাইনালে ফেরার লক্ষ্য এমবাপ্পের : আনচেলত্তি সরিষাবাড়ীতে যুবদলনেতা ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত

কম্পপুরে আবর্জনা ফেলতে ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবি কৃষকদের

আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে কম্পপুর এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে কম্পপুর এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর পৌরসভার কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা। ১১ জুলাই দুপুরে কম্পপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ শেষে মিছিল সহকারে পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করে তারা এ দাবি জানান।

১১ জুলাই বেলা ১২টার দিকে জামালপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ কম্পপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে সমবেত হন। তারা সেখানে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য জমি অধিগ্রহণ না করার জোর দাবি জানান।

পরে আন্দোলকারীরা শহরের প্রধান সড়কে মিছিল বের করে জামালপুর পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা একই দাবিতে পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনির বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে কম্পপুর এলাকাবাসীর মিছিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আন্দোলনকারীদের পক্ষে মো. জহুরুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান নির্ধারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ওই কৃষি জমিতে স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর ধরে ধান, পাট, বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ফসলি জমি অধিগ্রহণ করা হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় থাকবে না। কম্পপুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কম্পপুর এলাকায় প্রায় ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে মাপজোক করা হয়েছে। কৃষকদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি আমরা পৌরপরিষদের সভায় আলোচনা করবো।’

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

কম্পপুরে আবর্জনা ফেলতে ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবি কৃষকদের

আপডেট সময় ০৪:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯
আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে কম্পপুর এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর পৌরসভার কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা। ১১ জুলাই দুপুরে কম্পপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ শেষে মিছিল সহকারে পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করে তারা এ দাবি জানান।

১১ জুলাই বেলা ১২টার দিকে জামালপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ কম্পপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে সমবেত হন। তারা সেখানে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য জমি অধিগ্রহণ না করার জোর দাবি জানান।

পরে আন্দোলকারীরা শহরের প্রধান সড়কে মিছিল বের করে জামালপুর পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করে। তারা একই দাবিতে পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনির বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবিতে কম্পপুর এলাকাবাসীর মিছিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আন্দোলনকারীদের পক্ষে মো. জহুরুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কম্পপুর এলাকায় ফসলি জমিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান নির্ধারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ওই কৃষি জমিতে স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর ধরে ধান, পাট, বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ফসলি জমি অধিগ্রহণ করা হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় থাকবে না। কম্পপুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ফসলি জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কম্পপুর এলাকায় প্রায় ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে মাপজোক করা হয়েছে। কৃষকদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি আমরা পৌরপরিষদের সভায় আলোচনা করবো।’