মাদারগঞ্জের বহুমুখী মেধাবী ছাত্রলীগনেতা জি বি এম রুবেল আহম্মেদ

জি বি এম রুবেল আহম্মেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

তরুণ, মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতা জি বি এম রুবেল আহম্মেদ ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ সালে জামালপুর জেলা, মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বাদশা মোল্লা ও মা নুরেজা বেগম।

২০০৩ সালে ২৫ নম্বর জোড়খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবনের শুরু । ২০১৪ সালে ইসলামাবাদ ওয়াছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ মেধা তালিকায় এসএসসি পাশ করেন। ২০১৬ সালে এইচএসসি এবং ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল সরকারি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল) পাস করেন। বর্তমানে প্রাইম ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ থেকে স্নাতক ডিগ্রি (ইইই) তে অধ্যায়ন করছেন।

জি বি এম রুবেল আহম্মেদ ছোট বেলা থেকেই একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর মধ্যে বহুমুখী মেধা, মনন, নেতৃত্ব ও সামাজিক উন্নয়নের চিন্তা ভাবনা বিরাজমান। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে মাদারগঞ্জে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনি জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভক্ত হয়ে নৌকা-নৌকা, শেখ হাসিনা ও আজম ভাই কন্ঠধ্বনিতে হেঁটে মিছিলে যাওয়ার মধ্য দিয়েই রাজনীতিক জীবনের সূচনা ঘটে।

স্কুল জীবন থেকে নামধারী ছাত্রলীগের কর্মী না হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুজিব আর্দশের একজন ছাত্রলীগের ভক্ত ও সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৪ সালে এসএসসি পাসের পর ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্বের মধ্যদিয়েই তাঁর নেতৃত্ব ও তুখর বক্তব্য সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সবার হৃদয়ে জায়গা দখল করে নেয়।

২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গুনারীতলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড শাখার (মোসলেমাবাদ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে একনিষ্ঠ মেধা ও পরিশ্রমে তাঁর জুটি সভাপতি জিয়াউল হকের সাথেই নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ মিলে।

তাঁর এ অবস্থান থেকেই খুব অল্প সময়ে উপজেলাস্থ সকল ওয়ার্ড পর্যায় কার্যক্রমে তাঁর নাম মুখে মুখে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

তাঁর এই দায়িত্ব থেকেই সর্বোচ্চ মেধা, সাধনা, পরিশ্রম ও নেতৃত্বে ফুঁটে উঠে সকল নেতৃত্বগুণ। নেতা, নীতি ও নেতৃত্ব নিষ্ঠার সাথে মেনেই একজন ওয়ার্ডস্থ নেতা হয়ে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ‘বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম হল এ দেশের প্রায় ৮০ জন বক্তার মধ্যে তিনি ‘সেরা বক্তা’ হিসেবে স্বীকৃতি পান । এ ছাড়াও রচনা প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার সৌভাগ্য হয়। টাঙ্গাইলে অধ্যায়নের সময় বিভিন্ন মিছিল, আন্দোলন, বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় সবার মনে অরণ্য আলোড়ন সৃষ্টি করে ১ম স্থান অর্জন করেছে বহুবার। তাঁর এমন নেতৃত্ব টাঙ্গাইল জেলা নেতৃবৃন্দের মন জয় করেছিল।

২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ’ এর জামালপুর-৩ আসনের একজন ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ৩৫০ আসনের মধ্যে সরকারদলীয় বক্তব্য রাখার সুযোগও মিলে তাঁর।

২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ’ এ জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকারদলীয় বক্তব্য রাখেন জি বি এম রুবেল আহম্মেদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘোষিত সাংগঠনিক প্রতিযোগিতায় রুবেল আহম্মেদ রচিত, নির্দেশিত ও নির্মিত ‘মাদারগঞ্জের পরিচিতি ও উন্নয়ন’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান ও বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের হাতের ছোঁয়ায় মাদারগঞ্জে সকল উন্নয়নের চিত্র ফুঁটে উঠে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রায় বহুমুখী মেধাবী ও নিরলস পরিশ্রমী ছাত্রনেতা জি বি এম রুবেল আহম্মেদ নিজেকে সবসময় সংগঠনের সাথে সংযুক্ত রেখে চলার প্রয়াস রাখেন। তাইতো রুবেল তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতার সমন্বয় ঘটিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই সাংগঠনিক প্রতিযোগিতায় ছাত্রলীগের উপজেলার ৭২ টি ওয়ার্ড গুলোর সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ সংগঠক’ নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়াও ৩নম্বর গুনারীতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে সকল সহযোগী সংগঠনের মধ্যে তাদের সংগঠন জিয়াউল-রুবেল এর নেতৃত্বে এবং সর্বোচ্চ মাসিক সভা করার মধ্য দিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ‘শ্রেষ্ঠ সংগঠন’ হিসেবে সম্মাননা অর্জন করে।

সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও রুবেল তাঁর বহুমাত্রিক মেধা-মননে একজন কবি, লেখক, সাংবাদিক, উপস্থাপক, আবৃত্তিকার ও নির্মাতা হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর লেখা প্রায় শতাধিক কবিতাসহ, গুচ্ছগল্প, নাটক রয়েছে। এ ছাড়াও সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি গভীর প্রেম, ভালোবাসা ও টান রয়েছে। জামালপুর শিল্পকলার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে থিয়েটারের সাথে জড়িত থেকে অভিনয় করা সহ একজন একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক নাট্যকর্মীও হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক কবি, সাহিত্যিক, নাট্যজনসহ খ্যাতিমান মানুষের সান্নিধ্যলাভের সুযোগ মিলেছে তাঁর।

শ্রেষ্ঠ সংগঠকের স্মারক নিচ্ছেন ছাত্রলীগনেতা জি বি এম রুবেল আহম্মেদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার দিতে ও মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে মোসলেমাবাদ গ্রামে ‘ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন ও ‘প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি’ নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে চারণ থিয়েটারের ‘প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের’ দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালের ৬ মে মাদারগঞ্জ উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার’স অ্যাসোসিয়েশনের ‘সাধারণ সম্পাদক’ নির্বাচিত হন।

এ ছাড়াও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবেসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার ‘সদস্য সচিব’ নির্বাচিত হন ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল।

খুব অল্প বয়স থেকেই গ্রাম্যপ্রেমী প্রতিবাদী এই যুবক সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার মধ্যদিয়ে সফলভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। দুর্বল, অসহায়, নির্যাতিত, অভাবী মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও মমত্ববোধ। রাজনীতিকে বেছে নিয়েছেন মানুষের সেবা ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে।

সামনের দিনগুলিতেও সবার দোয়া ও ভালোবাসায় জি বি এম রুবেল তাঁর সর্বোচ্চ মেধা, মনন, আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠ পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পরিক্ষিত মুজিব আদর্শের রাজনীতিক-সামাজিক কর্মী হয়েই সাফল্যের সিঁড়িতে এগিয়ে যেতে চান।