জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তাভর্তি ৩৫ বস্তা চাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের ৩০টি খালি বস্তা জব্দ করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন। ১ জুন বিকেল ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের নারায়ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর উত্তরপাড়া এলাকায় কালোবাজারে ভিজিএফ চাল মজুদ করা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন ১ জুন বিকেল ৩টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালান।
এ সময় তিনি স্থানীয় মৃত নবু শেখের ছেলে কৃষিশ্রমিক মো. আবুল হোসেনের ঘর থেকে বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তর লেখাযুক্ত ২৫ বস্তা চাল জব্দ করেন। এছাড়াও স্থানীয় মৃত মোনতাজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের ঘরের দরজার তালা ভেঙে একই প্রকারের ১০ বস্তা চাল জব্দ এবং খাদ্য অধিদপ্তর লেখাযুক্ত ৩০টি খালি বস্তা জব্দ করেন। স্থানীয় নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানের সময় ওই দুটি বাড়ি থেকে কোনো কালোবাজারিকে আটক করা যায়নি। চালগুলো সরকারি বরাদ্দের চাল বলে ইউএনও নিশ্চিত করলেও কোন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে এবং ভিজিএফ বরাদ্দের চাল কিনা তা তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। পরে দুটি বাড়ি থেকে জব্দ করা ৩৫ বস্তা চাল ও ৩০টি খালি বস্তা তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘জব্দ করা ৩৫ বস্তা চাল সরকারি বরাদ্দের চাল। তবে ভিজিএফ নাকি সরকারি অন্যকোনো প্রকল্পের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদে ৭৩৩ জন কার্ডধারীর ভিজিএফ বরাদ্দের মজুদ চালের হিসাব মিলিয়ে দেখেছি ঠিক আছে। কালোবাজারিদের বাড়ি থেকে জব্দ করা চালগুলো এই পরিষদের চাল নয়। জব্দ করা চালগুলো ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’