জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের চেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে জমির দলিল নিবন্ধনের চেষ্টাকালে ৭৭ হাজার টাকার পে-অর্ডার, ভুয়া নামজারি, ভুয়া ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) কপি ও ভুয়া খাজনার রশিদসহ দলিলটি জব্দ করেছেন সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. সাখাওয়াত হোসেন। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত জোবায়দুর রহমানের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম সংশোধিত খতিয়ান ১১৪৩২ মূলে সিংহজানী মৌজায় সোয়া তিন শতাংশ জমি নিবন্ধনের জন্য জমির দলিল, পে-অর্ডার, নামজারি, ডিসিআর কপি ও খাজনার রশিদসহ সদর সাব রেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করেন। ২৭ মে সদর সাব রেজিস্ট্রারের এজলাসে ওই জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে দলিলের সাথে দাখিলকৃত জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়। এ সময় সদর সাব রেজিস্ট্রার ৭৭ হাজার টাকার পে-অর্ডার, ভুয়া নামজারি, ভুয়া ডিসিআর কপি ও ভুয়া খাজনা রশিদসহ দলিলটি জব্দ করেন। ওই জমির দলিল লেখকের দায়িত্বে ছিলেন দলিল লেখক মো. হাবিবুর রহমান ( সনদ নং-২০৩)। এই জালিয়াতির ঘটনার সাথে জড়িত দলিল লেখক মো. হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভুয়া নামজারি, ডিসিআর কপি ও ভুয়া খাজনা রশিদ ব্যবহার করে জমির দলিল নিবন্ধন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দলিল লেখক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমি জমির মালিক মো. রফিকুল ইসলামের জমির দলিল নিবন্ধন করার দায়িত্ব নেইনি। সদর সাব রেজিস্ট্রার যে দলিলটি জব্দ করেছেন সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। অনেক সময় আমাদের দলিল লেখকদের সনদ নম্বর ও স্বাক্ষর জাল করেও অনেকেই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলিল দাখিল করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও মনে হয় তাই হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. সাখাওয়াত হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘মো. রফিকুল ইসলামের জমির দলিলটি আটকে দেওয়া হয়েছে। জমির মোট মূল্যের ওপর শতকরা ১১ টাকা হারে রাজস্ব জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই হিসাবে দলিল লেখক (সনদ নং ২০৩) মো. হাবিবুর রহমান ৭৭ হাজার টাকার পে-অর্ডারসহ দলিল দাখিল করেন। কিন্তু ওই জমির নামজারি, ডিসিআর কপি এবং খাজনার রশিদ জাল ধরা পড়ায় দলিলটি আটকিয়ে দিয়েছি। এই জালিয়াতির ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলিলটির যাবতীয় কাগজপত্র ও ৭৭ হাজার টাকার পে-অর্ডার জব্দ করা হয়েছে। এগুলো আরো যাচাই বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’