মাদারগঞ্জে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির ছাত্রী

খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৪)। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার জোনাইল গ্রামে বিয়েটি বন্ধ করে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও বঙ্গমাতা গার্লস সাপোর্ট ফাউন্ডেশন।

সাদিয়া আক্তার জোনাইল গ্রামের ইছা আলীর মেয়ে ও জামালপুর ইউজডম স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, একই গ্রামের মৃত দুদু মাস্টারের ছেলে জুলু মিয়ার সাথে সাদিয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সাদিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম পুলিশ ও বঙ্গমাতা গার্লস সাপোর্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইউএনও’র নির্দেশে রাতেই থানা পুলিশ ও বঙ্গমাতা গার্লস সাপোর্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা সাদিয়ার বাড়িতে গিয়ে বরপক্ষ আসার আগেই বিয়েটি বন্ধ করে দেন। তবে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে বাড়ি থেকে সাদিয়ার বাবা ও মা পালিয়ে যান।

পরে বঙ্গমাতা গার্লস সাপোর্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আরিফুন্নাহার, ভাইস চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আল জুবায়ের ও সদস্য আরাফাত হিজবুল্লাহ উপস্থিত থাকা সাদিয়ার আত্মীয়-স্বজনদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করে বিয়ে বন্ধে উৎসাহিত করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সাদিয়াকে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার আদায় করা হয়।

ফেব্রুয়ারি মাসে এই নিয়ে বঙ্গমাতা গার্লস সাপোর্ট ফাউন্ডেশন চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করল।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাল্যবিয়েটি বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।