ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে ডা. জাকির হোসেনের মহতি উদ্যোগ অপরাজেয়র সংযোগ প্রকল্পের জামালপুর কার্যালয়ে চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত জামালপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চরপাকেরদহ ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হুতি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’: ট্রাম্প জামালপুর সিংহজানি উচ্চবিদ্যালয়ে তারুণ্যমেলা সমাপ্ত শেরপুরে উন্নয়ন সংঘের স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

৯ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে আড়াই কোটি শিশু

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক: দেশের প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।

এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে ছয় মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গত ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমদানিকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।

জাহিদ মালেক বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, সেতুর টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সেতু, দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতু, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২ টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী আ খ ম মুহিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ

৯ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে আড়াই কোটি শিশু

আপডেট সময় ০৫:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক: দেশের প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।

এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে ছয় মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গত ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমদানিকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।

জাহিদ মালেক বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, সেতুর টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সেতু, দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতু, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২ টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী আ খ ম মুহিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস