ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে জামালপুরে সিপিবির গণতন্ত্র অভিযাত্রা শুরু জাগ্রত তরুণরাই এ দেশটাকে পরিবর্তন করতে পারবে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর : উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অতীতের চেয়ে এবারের বিপিএলের উইকেট ভালো : নবি ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করলো পিসিবি সৌদি আরব চাইলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবে: ট্রাম্প ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা হাসপাতাল ছেড়ে ছেলের বাসায় উঠেছেন বেগম খালেদা জিয়া তারুণ্য উৎসব : নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে এপির কুইজ প্রতিযোগিতা সরিষাবাড়ীতে মাথায় গাছ পড়ে গাছকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তিনি জনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ২৮ জানুয়ারি রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে এই পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেলান্দহ উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী মাঠে আগাম প্রচার-প্রচারণা এবং জনসমর্থন আদায়ে তৎপর রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান একজন। তিনিও ইতিমধ্যে উপজেলার সর্বত্র জনসংযোগ এবং আওয়ামী লীগের জেলা ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে জোর লবিং করে আসছেন। আগাম প্রচারণার অংশ হিসেবে তার ছবি সম্বলিত পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার গ্রাম-হাটবাজারে। সমাজে গ্রহণযোগ্য ও দলের জন্য একজন ত্যাগী রাজনীতিকের যোগ্যতার বিচারে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা তৃণমূলের এই নেতার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। ১৯৮৩ সালে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ১৯৮৬ সালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সারের ব্যবসায়ী।

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান ১৯৮৩ সালে এরশাদের সামরিক সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাবরণ করেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হন। পরবর্তীতে ২০০৩ সাল থেকে দুই মেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ এই নেতা ২০০১ সালে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন এবং দুই মাস জেল খাটেন। একই বছর তিনি মেলান্দহ উপজেলায় নবগঠিত হাজরাবাড়ী পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০৩ সাল থেকে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়কের দায়িত্বে থেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিজেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা কমিটিতে পদ পাওয়ার পর থেকে আমি দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। দলের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে আমি আমার উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। দল থেকে আমাকে এই পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিলে আমি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প জনকল্যাণে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং এ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাবো।

সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান ডল ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসাইনসহ জেলায় কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে জামালপুরে সিপিবির গণতন্ত্র অভিযাত্রা শুরু

মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান

আপডেট সময় ০৮:২২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তিনি জনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ২৮ জানুয়ারি রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে এই পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেলান্দহ উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী মাঠে আগাম প্রচার-প্রচারণা এবং জনসমর্থন আদায়ে তৎপর রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান একজন। তিনিও ইতিমধ্যে উপজেলার সর্বত্র জনসংযোগ এবং আওয়ামী লীগের জেলা ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে জোর লবিং করে আসছেন। আগাম প্রচারণার অংশ হিসেবে তার ছবি সম্বলিত পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার গ্রাম-হাটবাজারে। সমাজে গ্রহণযোগ্য ও দলের জন্য একজন ত্যাগী রাজনীতিকের যোগ্যতার বিচারে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা তৃণমূলের এই নেতার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। ১৯৮৩ সালে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ১৯৮৬ সালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সারের ব্যবসায়ী।

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান ১৯৮৩ সালে এরশাদের সামরিক সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাবরণ করেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হন। পরবর্তীতে ২০০৩ সাল থেকে দুই মেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ এই নেতা ২০০১ সালে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন এবং দুই মাস জেল খাটেন। একই বছর তিনি মেলান্দহ উপজেলায় নবগঠিত হাজরাবাড়ী পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০৩ সাল থেকে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়কের দায়িত্বে থেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিজেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা কমিটিতে পদ পাওয়ার পর থেকে আমি দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। দলের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে আমি আমার উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। দল থেকে আমাকে এই পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিলে আমি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প জনকল্যাণে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং এ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাবো।

সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান ডল ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসাইনসহ জেলায় কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।