বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি দূর করতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৬ জানুয়ারি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ১০০ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহ পালন করা, মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি চালুর ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শেষ করা, প্রচার প্রচারণা শেষ করা, সব হাসপাতালে নিওন সাইনবোর্ড স্থাপন করা, প্রতিটি হাসপাতালে বিভিন্ন ইউচার চার্জের তালিকা প্রকাশ করা, গ্রাহকরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা সমাধানে ওয়েবসাইটে অভিযোগ কর্ণার চালু করা। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য জীপ গাড়ি দেওয়া।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও সিন্ডিকেট বন্ধে তদারকি জোরদার করা হবে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি দূর করতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে। টেন্ডার ছাড়া কোন যন্ত্রপাতি কেনা হবে না।
১ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা যাতে গ্রাম থেকে তৃণমূলের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে সেজন্য উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের বাড়ি-গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
অতীতের ক্রটি বিচ্যুতি সংশোধন করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালে জনবলের উপস্থিতি, যন্ত্রপাতির সঠিক পরিচর্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।
‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দূর করতে স্বাস্থ্য খাতে প্রশাসনিক সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হবে কিনা’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা একজনকে সাসপেন্ড করেছি, আস্তে আস্তে এই শুদ্ধি অভিযান সব জায়গায় চালানো হবে। যাতে ভাল পরিবেশ আপনারা পান। অল্প সময়ের মধ্যে তা দেখতে পাবেন।
১০ হাজার চিকিৎসক বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাতে একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। ওখানে সারাদেশের জনগণ তাদের অসুবিধার কথা জানাতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কি চিকিৎসা নেওয়া দরকার তা জানা যাবে। পুরো বিষয়টি মন্ত্রী, তার সচিব এবং মন্ত্রণালয় তদারকি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস