ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে ৫৮১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

জামালপুর সদরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে যান ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর সদরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে যান ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর জামালপুর জেলার পাঁচটি আসনে ৫৮১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। এর মধ্যে ৮১টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি আসনে এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) এবং জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এবার পাঁচটি আসনে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৯ জন পুরুষ ও নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৫০ হাজার ২৬৪ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫ জন। পাঁচটি আসনে ৫৮১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। এর মধ্যে ৮১টি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে জেলার পাঁচটি আসনের সাতটি উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে তাদের কার্যালয়ে ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ সমস্ত সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। এবারের নির্বাচনে জেলায় ৫৮১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩ হাজার ২৩৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৬ হাজার ৪৭০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোট গ্রহণ শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পাঁচটি আসনে ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল নিয়োজিত করেছেন। সারা জেলায় ১ হাজার ৮০০ জন পুলিশ, বিজিবি ৯ প্লাটুনে ১৮০ জন, সেনাবাহিনীর ৭ প্লাটুনে ৩৯৭ জন, র‌্যাবের ৯০ জন্য সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও ৭ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং ৭০০ গ্রাম পুলিশ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, জেলার পাঁচটি আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে গেছে। আশা করা যায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ৫৮১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

আপডেট সময় ০৮:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
জামালপুর সদরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে যান ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর জামালপুর জেলার পাঁচটি আসনে ৫৮১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। এর মধ্যে ৮১টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি আসনে এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) এবং জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এবার পাঁচটি আসনে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৯ জন পুরুষ ও নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৫০ হাজার ২৬৪ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫ জন। পাঁচটি আসনে ৫৮১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫৭টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। এর মধ্যে ৮১টি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে জেলার পাঁচটি আসনের সাতটি উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে তাদের কার্যালয়ে ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রের ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ সমস্ত সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। এবারের নির্বাচনে জেলায় ৫৮১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩ হাজার ২৩৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৬ হাজার ৪৭০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোট গ্রহণ শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পাঁচটি আসনে ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল নিয়োজিত করেছেন। সারা জেলায় ১ হাজার ৮০০ জন পুলিশ, বিজিবি ৯ প্লাটুনে ১৮০ জন, সেনাবাহিনীর ৭ প্লাটুনে ৩৯৭ জন, র‌্যাবের ৯০ জন্য সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও ৭ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং ৭০০ গ্রাম পুলিশ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, জেলার পাঁচটি আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে গেছে। আশা করা যায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো।