ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে মাথায় গাছ পড়ে গাছকাটা শ্রমিকের মৃত্যু ইসলামপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের জানাজা সম্পন্ন বকশীগঞ্জে ফসলি জমিতে মাটি কাটা বন্ধে এসিল্যান্ডের অভিযান সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাব নির্বাচন : সভাপতি ইব্রাহীম, জাকারিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম শুরু আগামী ভবিষ্যৎ হবে কমপিটিশনের ভবিষ্যত : জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম ইসলামপুরে শীতার্তদের মাঝে বিএনপির কম্বল বিতরণ মেলান্দহে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ মাদারগঞ্জে শীতবস্ত্র পেল তিন শতাধিক শীতার্ত মানুষ মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির মিছিল, পথসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অনুমতি না দিতে কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া বেআইনী, কাউকে এ ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১ ডিসেম্বর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। এটা বেআইনী, যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না, আপনারাও তা অ্যালাউ করবেন না। প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকান্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না। একেবারে চৌকিদার থেকে সেনা বাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। জীবন, মালামাল নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে আসতে পারবে কি না, কেন্দ্রে গেলেই তো ভোট দেবো এ রকমও প্রশ্ন আসতেছে। এটা আপনাদের বিষয়। এর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেব যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্ল্যানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান সম্মান ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা টেলিভিশনে দেখা যায়, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কথা নয়। নির্বাচনী আইন ফলো করলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা রয়েছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।’

ইসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে মাথায় গাছ পড়ে গাছকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অনুমতি না দিতে কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া বেআইনী, কাউকে এ ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১ ডিসেম্বর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। এটা বেআইনী, যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না, আপনারাও তা অ্যালাউ করবেন না। প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকান্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না। একেবারে চৌকিদার থেকে সেনা বাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। জীবন, মালামাল নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে আসতে পারবে কি না, কেন্দ্রে গেলেই তো ভোট দেবো এ রকমও প্রশ্ন আসতেছে। এটা আপনাদের বিষয়। এর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেব যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্ল্যানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান সম্মান ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা টেলিভিশনে দেখা যায়, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কথা নয়। নির্বাচনী আইন ফলো করলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা রয়েছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।’

ইসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস