বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম
১২ বছর পর ফের ভোটের মাঠে নেমেছেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এ সময় ওই পাঁচ বছরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি।
দীর্ঘ ১২ বছর পর তিনি এলাকার উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে আবারও নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। জনগণ সুযোগ দিলে সংসদ সদস্য হয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জামালপুর-১ বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। তিনি এবারও বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন। ভোটের মাঠে তিনি ফিরে আসায় স্বস্তিতে রয়েছে দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এই আসনে বিএনপির আরো দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম ও ব্যারিস্টার শাহাদত বিন জামান শোভন।
কিন্তু বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা এবার একযোগে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন। কারণ বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয়। ২০০১ সালের আগেও এই আসনে বিএনপির নির্বাচন করার মত শক্তিশালী কোনো প্রার্থী ছিল না। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে বিএনপি নেতা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা দুই বারের ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে পরাজিত করে বিএনপির বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই এলাকায় উন্নয়নের ঝড় তুলেন। শুধু উন্নয়নই নয় দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হন। নিজ যোগ্যতা ও দলের স্বার্থে তাকে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি করা হয়। তার নেতৃত্বে পুরো জামালপুর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি সুসংগঠিত হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারলেও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আবার প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবার মনোনয়ন দাখিল করায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুর রশিদ সাদা জানান, জামালপুর-১ আসনে দলের প্রার্থীর জয় চাইলে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে মনোনয়ন দেওয়ার বিকল্প নেই। একমাত্র মিল্লাতই পারে আওয়ামী লীগের হাত থেকে এই আসন পুনরুদ্ধার করতে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স জানান, সকল নেতাকর্মী সাবেক সংসদ সদস্য মিল্লাতের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তার বিজয় নিশ্চিত বলেও তিনি যোগ করেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বিপ্লব সওদাগর জানান, এবার আমরা সাবেক সংসদ সদস্য মিল্লাতকে জেতানোর জন্য মাঠে তৎপর রয়েছি।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরাও মিল্লাতের পক্ষে থাকার একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মিল্লাতকে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়। তারাও মাঠে নামবেন বিএনপি প্রার্থী মিল্লাতকে বিজয়ী করার জন্য।
তবে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৮ ডিসেম্বর বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে কারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সেটাই দেখার অপেক্ষা করছে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ।
বাংলারচিঠি ডটকমের ফেসবুক পাতায় লাইক করুন