ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউএসএআইডি’র কর্মী ছাঁটাই: দেশ-বিদেশে প্রভাব চিটাগাংকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা বরিশালের মাদারগঞ্জে মাটি ধসে দেবে গেছে সেতু, যানবাহন চলাচল বন্ধ জামালপুর জেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল জামালপুরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল সরিষাবাড়ীতে মারামারি ফিরাতে গিয়ে শ্রমিক নেতার মৃত্যু সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের সম্পত্তিতে হামলা না করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান আমেরিকায় ১০ আরোহীসহ বিমান নিখোঁজ তোরেসের হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

লাশ হয়ে ফিরলেন সুমন খান

সুমন খান

সুমন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

ব্যবসায়ী কাজে ঢাকায় গিয়ে লাশ হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী সুমন খান (৩৯)। তিনি ৫ নভেম্বর ভোরে দেওয়ানগঞ্জের বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পাঁচদিন পর ৯ নভেম্বর রাতে ঢাকার খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের ছবি ফেসবুকে দেখেন স্বজনরা। রাতেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে খিলগাঁও থানায় যোগাযোগ করে ইমোতে পাঠানো ছবি দেখে সুমন খানের লাশ বলে নিশ্চিত হন স্বজনরা। তিনি দেওয়ানগঞ্জ বাজারের আব্দুল খালেক খানের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ বাজারের তৈরি পোশাক ও কাপড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুমন বস্ত্রালয়ের মালিক সুমন খান তার দোকানের কাপড় কেনার জন্য ৫ নভেম্বর ভোর চারটায় ঢাকার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পরদিন ৬ নভেম্বর রাত একটার দিকে সর্বশেষ তার পরিবারের সাথে কথা হয়। তখন তিনি টঙ্গীতে আছেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তার বাবা আব্দুল খালেক খান বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল প্রিন্টের জিন্স শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট।

নিহত সুমন খানের প্রতিবেশী বন্ধু মনজুরুল হক বাবু ১০ নভেম্বর বাংলারচিঠি ডটকমকে জানান, তিনিসহ সুমনের কয়েকজন স্বজন ৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে একটি ফেসবুক আইডিতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ছবিসহ লাশের পোস্ট দেখেন। ওই ছবি দেখে লাশটি সুমন খানের কিনা তা জানার জন্য তারা দেওয়ানগঞ্জ থেকে দ্রুত পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার খিলগাঁও থানার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে খিলগাঁও থানায় ফোন করা হলে থানা থেকে একটি ইমো আইডিতে ওই মৃত ব্যক্তির ছবি, পরনের পোশাক ও হাতের বেসলেটের ছবিসহ বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে দেয়। একই সাথে ওই লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছবিগুলো দেখে তারা নিশ্চিত হন যে ওই লাশটি সুমন খানের।

মনজুরুল হক বাবু আরো জানান, খিলগাঁও থানা থেকে পাঠানো ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর সুমন খানের দেওয়ানগঞ্জের বাসায় তার স্ত্রী পারুল আক্তার ও অন্যান্য স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম শুরু হয়। সুমনের দুই ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। ১০ নভেম্বর দুপুরে নিহত সুমন খানের সহোদর শ্যামল ও পিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে বিকেল চারটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে শোকার্ত দুই ভাই সুমন খানের লাশ নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা হন। দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলেও নিহতের স্বজনরা ধারণা করছেন।

দেওয়ানগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মমতাজ উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, সুমন খানের বাবার করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে আমরা চেষ্টা করেছি তাকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু ৯ নভেম্বর রাতে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সুমনের লাশ খিলগাঁও থানা এলাকায় পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দেওয়ানগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএসএআইডি’র কর্মী ছাঁটাই: দেশ-বিদেশে প্রভাব

লাশ হয়ে ফিরলেন সুমন খান

আপডেট সময় ০৭:২০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
সুমন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

ব্যবসায়ী কাজে ঢাকায় গিয়ে লাশ হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী সুমন খান (৩৯)। তিনি ৫ নভেম্বর ভোরে দেওয়ানগঞ্জের বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পাঁচদিন পর ৯ নভেম্বর রাতে ঢাকার খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের ছবি ফেসবুকে দেখেন স্বজনরা। রাতেই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে খিলগাঁও থানায় যোগাযোগ করে ইমোতে পাঠানো ছবি দেখে সুমন খানের লাশ বলে নিশ্চিত হন স্বজনরা। তিনি দেওয়ানগঞ্জ বাজারের আব্দুল খালেক খানের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ বাজারের তৈরি পোশাক ও কাপড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুমন বস্ত্রালয়ের মালিক সুমন খান তার দোকানের কাপড় কেনার জন্য ৫ নভেম্বর ভোর চারটায় ঢাকার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পরদিন ৬ নভেম্বর রাত একটার দিকে সর্বশেষ তার পরিবারের সাথে কথা হয়। তখন তিনি টঙ্গীতে আছেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তার বাবা আব্দুল খালেক খান বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল প্রিন্টের জিন্স শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট।

নিহত সুমন খানের প্রতিবেশী বন্ধু মনজুরুল হক বাবু ১০ নভেম্বর বাংলারচিঠি ডটকমকে জানান, তিনিসহ সুমনের কয়েকজন স্বজন ৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে একটি ফেসবুক আইডিতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ছবিসহ লাশের পোস্ট দেখেন। ওই ছবি দেখে লাশটি সুমন খানের কিনা তা জানার জন্য তারা দেওয়ানগঞ্জ থেকে দ্রুত পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার খিলগাঁও থানার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে খিলগাঁও থানায় ফোন করা হলে থানা থেকে একটি ইমো আইডিতে ওই মৃত ব্যক্তির ছবি, পরনের পোশাক ও হাতের বেসলেটের ছবিসহ বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে দেয়। একই সাথে ওই লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছবিগুলো দেখে তারা নিশ্চিত হন যে ওই লাশটি সুমন খানের।

মনজুরুল হক বাবু আরো জানান, খিলগাঁও থানা থেকে পাঠানো ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর সুমন খানের দেওয়ানগঞ্জের বাসায় তার স্ত্রী পারুল আক্তার ও অন্যান্য স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম শুরু হয়। সুমনের দুই ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। ১০ নভেম্বর দুপুরে নিহত সুমন খানের সহোদর শ্যামল ও পিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে বিকেল চারটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে শোকার্ত দুই ভাই সুমন খানের লাশ নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা হন। দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলেও নিহতের স্বজনরা ধারণা করছেন।

দেওয়ানগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মমতাজ উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, সুমন খানের বাবার করা সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে আমরা চেষ্টা করেছি তাকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু ৯ নভেম্বর রাতে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সুমনের লাশ খিলগাঁও থানা এলাকায় পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দেওয়ানগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন।