এম ইউ শাকিল, জামালপুর ॥
জামালপুরের মেলান্দহে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোহাম্মদ মুসলিম (৫০) ঘটনার পাঁচদিন পর ২৮ আগস্ট দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর খবরের পর থেকে হামলাকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং মেলান্দহের আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে ২৯ আগস্ট নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। পরে নিহতের নিজ বাড়ি জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৪ আগস্ট দুবাই প্রবাসী রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তার আত্মীয় মোহাম্মদ মুসলিম, আমজাদ, মহন ও মুখলেছ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপুর একটার দিকে আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে ইসমাইলের বাড়ির সামনে রাস্তায় রামদাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় একই গ্রামের মিঠু, রবিউল ইসলাম, বাবু, মানিক মিয়া, রবিন, বাদশা ও হোসেন আলী। ওই হামলায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন মোহাম্মদ মুসলিম(৫০), রফিকুল ইসলাম (৪০), আমজাদ (৩৫), মহন(২০) ও মুখলেছকে (১৮)। পরে গুরুতর আহত মোহাম্মদ মুসলিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত অন্যদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত পাঁচদিন যাবত মোহাম্মদ মুসলিম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন।
এদিকে ঘটনার সময় হামলাকারীরা ব্যাগসহ স্বর্ণের একটি চেইন, দুইটি বেসলেট, দুইটি মোবাইল সেট ও প্রায় তিন লাখ টাকা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে আহত রফিকুল ইসলাম ও আমজাদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মুসলিমের ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা গেদা বাদি হয়ে ওই হামলাকারী সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে মুখলেছ ও আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে বাবু ঢাকায় চাকরি করেন এবং একই সাথে মেছে থাকেন। তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। ওই ঘটনার জের ধরেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোহাম্মদ মুসলিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা গেদা।