
শফিউল আলম লাভলু
নিজস্ব প্রতিবেদক, নকলা (শেরপুর), বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুরের নকলা উপজেলায় শফিকুল ইসলাম শফিক (৫৫) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ১০ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের সাইলামপুর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাইলামপুর পুর্বপাড়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শফিকের দিহান স্টোর এন্ড মেডিসিন পয়েন্ট নামের একটি দোকান ছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ সেই দোকানে রাত্রি যাপন করতেন তিনি। প্রতিদিনের মত রাতের খাবার শেষে সাড়ে ৯টার দিকে তার দোকানে চলে আসেন শফিক। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দোকানের বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে পরেন। সকাল ৮টার দিকে শফিকের পুত্রবধূ কিছু জিনিসপত্র আনার জন্য বাড়ি থেকে দোকানে গিয়ে সাটার বন্ধ দেখেন। পরে বাবা বাবা বলে ডেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় দোকানের পিছনে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। পরে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে সব মালামাল এলোমেলো দেখে আবার বাবা বাবা বলে ডাকতে শুরু করলে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় শ্বশুরকে (শফিক) পড়ে থাকতে দেখে ডাকচিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে দোকানে প্রবেশ করে তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে লুটপাট করে সব নিয়ে যায়।
দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন বুলবুল ও নিহতের পরিবারের সহযোগিতায় শফিকের মরদেহ থানায় আনা হলে সুরতহাল প্রস্তুতপূর্বক মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া।
জানা যায়, নিহত শফিকুল ইসলাম শফিকের ভাই টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি ও অপর ভাই ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন বুলবুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এই হত্যা যেই করে থাকুক তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ও শোকের মাতম বইছে।