ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নকলায় জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো: মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পারাপার

জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা নৌকা ঘাটে যেতে পথচারীদের নিতে হচ্ছে ঝুঁকি। কারণ কে জানে ঘাটে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি কখন ভেঙ্গে পড়ে? তারপরেও বাস্তবতা হল ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতুটি হয়ে প্রতিদিন নকলা থেকে সহস্রাধিক মানুষকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জীবন জীবিকার সন্ধানে পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলাগুলোতে চলাচল করতে হয়।

জানা যায়, উপজেলার নারায়ণখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটু সামনেই ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে যেতে ২০১৪ সালে প্রায় ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ওই সেতুটি। বছর তিনেক আগে সেতুটির ৩টি পিলারের মধ্যে ২টি পিলার ভেঙ্গে হেলে পড়ে এবং বন্যার পানিতে সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সড়ে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইজারাদার পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে সেতুটির দু’পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু ভাঙাচোড়া ওই সাঁকো আর সেতু দিয়ে পারাপার হতে যাত্রীদের নিতে হয় মৃত্যুঝুঁকি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

নারায়ণখোলা ঘাটের ইজারাদার লাভলু মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ওই সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে আমাদের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে। অথচ সরকারিভাবে ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকায়।

জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নৌকার মাঝি সরোয়ার্দী জানান, প্রতিদিন নকলা হতে ময়মনসিংহ, পিয়ারপুর, মুক্তাগাছা, জামালপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার লোক চলাচল করে এই পথে। ঈদের সময় চাপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। কারণ পিয়ারপুর রেল স্টেশন থেকে নকলা নালিতাবাড়ীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীরা এই পথ ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে। সেতুটি ভেঙে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।

নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ওই সেতুটি পার হতে যাত্রীদের ঝুঁকির কথা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, আপাতত ভাঙা সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নকলায় জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো: মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পারাপার

আপডেট সময় ১১:৫২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা নৌকা ঘাটে যেতে পথচারীদের নিতে হচ্ছে ঝুঁকি। কারণ কে জানে ঘাটে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি কখন ভেঙ্গে পড়ে? তারপরেও বাস্তবতা হল ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতুটি হয়ে প্রতিদিন নকলা থেকে সহস্রাধিক মানুষকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জীবন জীবিকার সন্ধানে পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলাগুলোতে চলাচল করতে হয়।

জানা যায়, উপজেলার নারায়ণখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটু সামনেই ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে যেতে ২০১৪ সালে প্রায় ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ওই সেতুটি। বছর তিনেক আগে সেতুটির ৩টি পিলারের মধ্যে ২টি পিলার ভেঙ্গে হেলে পড়ে এবং বন্যার পানিতে সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সড়ে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইজারাদার পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে সেতুটির দু’পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু ভাঙাচোড়া ওই সাঁকো আর সেতু দিয়ে পারাপার হতে যাত্রীদের নিতে হয় মৃত্যুঝুঁকি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

নারায়ণখোলা ঘাটের ইজারাদার লাভলু মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ওই সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে আমাদের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে। অথচ সরকারিভাবে ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকায়।

জরাজীর্ণ সেতুর সংযোগস্থলে কাঠের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নৌকার মাঝি সরোয়ার্দী জানান, প্রতিদিন নকলা হতে ময়মনসিংহ, পিয়ারপুর, মুক্তাগাছা, জামালপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার লোক চলাচল করে এই পথে। ঈদের সময় চাপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। কারণ পিয়ারপুর রেল স্টেশন থেকে নকলা নালিতাবাড়ীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীরা এই পথ ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে। সেতুটি ভেঙে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।

নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ওই সেতুটি পার হতে যাত্রীদের ঝুঁকির কথা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, আপাতত ভাঙা সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে।