ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জুন-জুলাইয়ে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে ডব্লিওএইচও’র সতর্কতা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) জুন -জুলাই মাসে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে এ কারণে টিকাদান কর্মসূচি বিঘ্নিত হবে।

বিশ্বে বিশেষত নিম্নআয়ের দেশগুলোতে টিকার ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২৯টি দেশে কোভ্যাক্স আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

সংস্থার কোভ্যাক্সের দায়িত্ব পালনকারী ব্রুস আইলওয়ার্ড জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আরও ২০ কোটি ডোজ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডোজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তবে এতে সংকট কাটবে না।

আইলওয়ার্ড বলেন, আমরা ডোজগুলো তাড়াতাড়ি না পেলে টিকা দেয়ার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবো। কারন আমরা এখনও যথাযথ অবস্থায় নেই। আমাদের হাতে যথেষ্ট ডোজ নেই।

তিনি দুটি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত জুন- জুলাই মাসে টিকার দেয়ার জন্য খুব কম অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, আমরা যদি বিশ্ব জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে চলতি বছর টিকা দিতে চাই তাহলে এখন থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আরো ২৫ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে।

গভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপাপর্ডনেস ইনোভেশান্স এর সহায়তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে পরিচালিত কোভ্যাক্স যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে টিকার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

কোভ্যাক্সে ৯৭ শতাংশ টিকা সরবরাহ করছে অ্যাস্ট্রাজেনকা। বাকিটা করছে ফাইজার বায়োএনটেক।

আস্ট্রানেকা ডোজের উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সষ্টিটিউট কোভ্যাক্সের মূল সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু আভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে নয়াদিল্লী টিকা রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কোভ্যাক্স সংকটে পড়ে।

তবে সেরাম বলছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা কোভ্যাক্স্রে সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বে এ পযন্ত দু’শো কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, যাকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এর ৩৭ শতাংশ দেওয়া হয়েছে উন্নত দেশগুলোতে যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ১৬ শতাংশের বসবাস।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে ভিমরুলের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

জুন-জুলাইয়ে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে ডব্লিওএইচও’র সতর্কতা

আপডেট সময় ১২:১৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) জুন -জুলাই মাসে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে এ কারণে টিকাদান কর্মসূচি বিঘ্নিত হবে।

বিশ্বে বিশেষত নিম্নআয়ের দেশগুলোতে টিকার ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২৯টি দেশে কোভ্যাক্স আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

সংস্থার কোভ্যাক্সের দায়িত্ব পালনকারী ব্রুস আইলওয়ার্ড জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আরও ২০ কোটি ডোজ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডোজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তবে এতে সংকট কাটবে না।

আইলওয়ার্ড বলেন, আমরা ডোজগুলো তাড়াতাড়ি না পেলে টিকা দেয়ার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবো। কারন আমরা এখনও যথাযথ অবস্থায় নেই। আমাদের হাতে যথেষ্ট ডোজ নেই।

তিনি দুটি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত জুন- জুলাই মাসে টিকার দেয়ার জন্য খুব কম অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, আমরা যদি বিশ্ব জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে চলতি বছর টিকা দিতে চাই তাহলে এখন থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আরো ২৫ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে।

গভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপাপর্ডনেস ইনোভেশান্স এর সহায়তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে পরিচালিত কোভ্যাক্স যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে টিকার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

কোভ্যাক্সে ৯৭ শতাংশ টিকা সরবরাহ করছে অ্যাস্ট্রাজেনকা। বাকিটা করছে ফাইজার বায়োএনটেক।

আস্ট্রানেকা ডোজের উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সষ্টিটিউট কোভ্যাক্সের মূল সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু আভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে নয়াদিল্লী টিকা রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কোভ্যাক্স সংকটে পড়ে।

তবে সেরাম বলছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা কোভ্যাক্স্রে সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বে এ পযন্ত দু’শো কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, যাকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এর ৩৭ শতাংশ দেওয়া হয়েছে উন্নত দেশগুলোতে যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ১৬ শতাংশের বসবাস।সূত্র:বাসস।