জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় উশনিতা (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ সেপ্টেম্বর, শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরবানিপাকুড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর রইচ উদ্দিন ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ উশনিতা চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকার রাইচ উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়ার স্ত্রী ও পাশের মাদারগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া কোনাপাড়া এলাকার প্রবাসী ওয়াজেদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন মিয়ার সাথে উশনিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে এক বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিল রবিন ও উশনিতার মধ্যে। ১৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের ধরনার সাথে উশমিতাকে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। পরে স্থানীয়রা উশনিতার মরদেহ নিচে নামায়।
নিহত উশনিতার মা শিল্পী আক্তার বলেন, রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ফোন করে উশনিতার অসুস্থতার খবর জানায় ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি উশনিতাকে শুয়ায়ে রাখছে। আমার মেয়ের জামাই রবিনের বাবা মা বলে যে উশনিতা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত আমি আশেপাশের লোকজনের কাছে শুনেছি তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, গৃহবধূ উশনিতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে থানায় নেয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।