জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় “সরিষাবাড়ী কলেজে”র নামের সাথে মিল রেখে সরিষাবাড়ীর অপর একটি নতুন কলেজ “সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে”র নাম পরিবর্তন করে “সরকারি সরিষাবাড়ী কলেজ” নামকরণ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সরিষাবাড়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩১ মে, শনিবার দুপুরে কলেজের হল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি ওই আদেশ স্থগিত করে বৈষম্যের শিকার সরিষাবাড়ী কলেজ জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সরিষাবাড়ী কলেজটি জাতীয়করণের প্রক্রিয়ায় থাকলেও এখনও সরকারিকরণ হয়নি। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী, সুবিশাল অবকাঠামো, এবং সুনাম থাকা সত্ত্বেও ফ্যাসিস্ট সরকারের তৎকালীন এমপি মির্জা আজমের অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয়করণের সব শর্তাবলিকে পাশ কাটিয়ে শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধু নামকে পুঁজি করে পাশের এমপিওভুক্ত বঙ্গবন্ধু কলেজকে বিশেষ বিবেচনায় ২০১৬ সালে জাতীয়করণ করা হয়। যা স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে সম্প্রতি বর্তমান সরকার সরিষাবাড়ী বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে সরিষাবাড়ী সরকারি কলেজ প্রজ্ঞাপন করে পত্র দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পুরনো সরিষাবাড়ী কলেজের সঙ্গে নামের মিল থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বক্তারা দ্রুত সরিষাবাড়ী কলেজ সরকারিকরণ এবং জাতীয়করণপ্রাপ্ত কলেজটির নাম পরিবর্তনের জোর দাবি জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম পিন্টু, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিমুল এহছান শাহীন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম সাইদুল হাসান শিপন, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক খায়রুল আলম শ্যামলসহ কলেজের সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক।