ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শহিদ সাঈদের বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র শহিদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান এবং তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন।

ড. ইউনুস ১০ আগস্ট শনিবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে পৌঁছে সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন।

তিনি সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।

রংপুর সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ফ্রান্স থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ড. ইউনূস আবু সাঈদকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আবু সাঈদকে স্মরণ করছি, যার ছবি প্রত্যেক বাংলাদেশীর স্মৃতিতে খোদাই করা আছে। কেউ এটি ভুলতে পারে না। কি অবিশ্বাস্যভাবে সাহসী যুবক ছিলেন তিনি! তিনি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে যান এবং তারপর থেকে আন্দোলনরত তরুণ-তরুণীরা হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারতে পারো মার, আমরা এখানে আছি।’

আবু সাঈদ আন্দোলনের সময় সামনে থেকে প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বেরোবিতে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। শহিদ সাঈদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

গত ১৬ জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাঈদ। পরদিন পীরগঞ্জ উপজেলায় তাকে দাফন করা হয়।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে ভিমরুলের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

শহিদ সাঈদের বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৪১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র শহিদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান এবং তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন।

ড. ইউনুস ১০ আগস্ট শনিবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে পৌঁছে সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন।

তিনি সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।

রংপুর সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ফ্রান্স থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ড. ইউনূস আবু সাঈদকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আবু সাঈদকে স্মরণ করছি, যার ছবি প্রত্যেক বাংলাদেশীর স্মৃতিতে খোদাই করা আছে। কেউ এটি ভুলতে পারে না। কি অবিশ্বাস্যভাবে সাহসী যুবক ছিলেন তিনি! তিনি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে যান এবং তারপর থেকে আন্দোলনরত তরুণ-তরুণীরা হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারতে পারো মার, আমরা এখানে আছি।’

আবু সাঈদ আন্দোলনের সময় সামনে থেকে প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বেরোবিতে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। শহিদ সাঈদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

গত ১৬ জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাঈদ। পরদিন পীরগঞ্জ উপজেলায় তাকে দাফন করা হয়।সূত্র:বাসস।