রিমুর মুক্তির দাবিতে মাদারগঞ্জে দিনব্যাপী হরতাল পালিত

রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয় রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর সমর্থকরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাদারগঞ্জ, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার নবনিবাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু একটি হত্যা মামলায় কারাগারে যাওয়ায় তার মুক্তির দাবিতে ২ জুলাই মঙ্গলবার মাদারগঞ্জ উপজেলায় দিনব্যাপী হরতাল পালন করেছে তার সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলা সদরে হরতাল সমর্থকরা মাদারগঞ্জ- জামালপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়। বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিমুর মুক্তির দাবি জানান তারা।

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান সাগর জানান, নবনির্বাচিত উপজেলা পরষিদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু ১ জুলাই সোমবার একটি হত্যা মামলায় জামালপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সাথে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর প্রতিবাদে এবং রিমু ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে এই আন্দোলন। তিনি বলেন, একই দাবিতে ২ জুলাই দুপুরে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান এ প্রতিবেদককে জানান, হরতালে মাদারগঞ্জ থানার পুলিশের পাশাপাশি আরো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয় সার ব্যবসায়ী নওশের আলী। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেই হত্যা মামলায় পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনে রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর নাম উঠে আসলে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন তিনি। ২০ জুন রবিবার জামিনের মেয়াদের শেষ দিন ছিল। ১ জুলাই সোমবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।