ইসলামপুরে ক্যাপসিকাম চাষে অভূতপূর্ব সাফল্যে তরুণ কৃষক হৃদয়কে ধর্মমন্ত্রীর সম্মাননা স্মারক প্রদান

ক্যাপসিকাম চাষী হৃদয়কে সম্মাননা স্মারক দেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন
ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চরে ক্যাপসিকাম চাষে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তরুণ কৃষক হৃদয় হাসানকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন। ২২ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা স্মারক প্রদানসহ আরো বড় পরিসরে চাষের জন্য অনুপ্রাণিত করে প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় সাপধরী ইউনিয়নের যমুনার চর চেঙ্গানিয়া এলাকার ৪০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে কৃষক মো. আবু সাঈদ ও তার ছেলে হৃদয় হাসান বেকারত্ব দূর করতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। ফলনও বাম্পার হয়। তবে জেলায় ক্যাপসিকামের চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন এই কৃষক।

হৃদয় হাসান বলেন, ইউটিউব দেখে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভের আশায় ৪০ শতাংশ জমিতে ৫ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করি। এতে প্রায় খরচ হয় এক লাখ টাকা। জামালপুরে ক্যাপসিকাম চাহিদা না থাকায় রাজধানীতে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হওয়ায় চাষ করে হতাশ হই।

হৃদয় হাসানের বাবা আবু সাঈদ মিয়া ক্যাপসিকাম বিক্রি না হওয়ায় কান্নাজড়িত সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের নজরে আসে। এতেই ভাগ্য ফিরে যায় তার। ঢাকার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে পাঠিয়ে দেন যমুনার চরে। তারা ক্রয় করেন সকল ক্যাপসিকাম। এতে দ্বিগুণ লাভ হয়।

দুর্গম চরাঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষে তরুণ কৃষক হৃদয় হাসানকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আরো বড় পরিসরে চাষবাদ করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।