দেওয়ানগঞ্জে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

দেওয়ানগঞ্জে বেশি দামে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মদন মোহন ঘোষ
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বিভিন্ন রঙের ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এই কপি চাষে আগ্রহ বেড়েছে। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। বাজারে এ বছরেই প্রথম রঙিন ফুলকপি ওঠায় হাট-বাজারগুলোতে এর চাহিদাও ব্যাপক।

কৃষকরা সাদা কপির চেয়ে রঙিন কপি বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে বেশ খুশি। দেওয়ানগঞ্জ পৌর এলাকা, সদর ইউনিয়ন ও চুকাইবাড়ীসহ আশপাশ এলাকা রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মশলা, মেথি চাষ করেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে ঘুরে রঙিন ফুলকপি চাষিদের সঙ্গে কথা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, গুজিমারী গ্রামের আফছার আলী ৩৩ শতাংশ জমিতে গবেষণা প্লটে লাল, হলুদ, বেগুনি এবং সাদা রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন। সেগুলো দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। বাজারে দাম ভালো। চাহিদা প্রচুর থাকায় ইতিমধ্যে তিনি ২৫ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। আরও ২৫ হাজার টাকার মত খেতে রয়েছে। এ বছরে তিনি প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন।

চর ভবসুর গ্রামের উল্লিউল্লাহ্্, বানিয়ানীর চর দুদু মিয়া জানান, ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প থেকে বিনা মূল্যে রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপির বীজ চারা দিয়েছে। সার কিটনাশকমুক্ত সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করে চাষ করা হয়েছে। এ জাতের কপির চাহিদা বাজারে ব্যাপক রয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি করে চাষ করবেন তারা। খেতে রঙিন ফুলকপি দেখতেও উৎসুক লোকজন আসছে, সেলফি ও ছবি তুলছে।

একটি সাদা কপি ১৫ থেকে ২০ টাকা কিন্তু রঙিন কপিগুলো দিগুণ বা তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কপি রোপণ করার পর ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে তুলা যায়।

কৃষিবিদ পিএইচডি গবেষক পরেশ চন্দ্র দাস জানান, নদীতীরবর্তি চর অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল ভুট্টা আন্ত ফসল হিসাবেও চাষ করা যায় বিভিন্ন রঙের ফুলকপি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ জানান, কৃষকদের রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মশলা জাতীয় ফসল চাষে সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, কৃষকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে সহযোগিতা করা হচ্ছে।