ভারতের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সেতু উদ্বোধন করলেন মোদি

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

ভারতের সবচেয়ে বড় ও বহুল প্রতীক্ষিত সমুদ্র সেতু মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক ‘অটল সেতু’ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১২ জানুয়ারি বিকালে ‘অটল সেতু’ উদ্বোধন করে তা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি।

এমটিএইচএল বা অটল বিহারী বাজপেয়ী সেউড়ি-নাভা শেভা অটল সেতু আরব সাগরের ওপর নির্মিত। ভারতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অবকাঠামোর একটি এই সেতু। ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দুটি সমুদ্র সেতু হল চীনের হ্যাংজু বে ব্রিজ (৩৬ কিলোমিটার) ও সৌদি আরবের কিং ফাহাদ কজওয়ে (২৬ কিলোমিটার)।

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেতুর দৈর্ঘ্য ২১.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬.৫ কিলোমিটার সমুদ্রের ওপর ও বাকি ৫.৫ কিলোমিটার স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রসারিত। সমুদ্রের ওপর এত দীর্ঘ সেতু ভারতে আর নেই।

সেতুতে রয়েছে ছয়টি লেন। দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি রুপি। এর মধ্যে বড় অংশই ঋণ করা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন আরও কম সময়ে পৌঁছনো যাবে। মুম্বাই বন্দর এবং নভি মুম্বাইয়ে জওহরলাল নেহরু বন্দরের মধ্যেও কম সময়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে।

মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমএমআরডিএ) সেতু প্রকল্পটি কার্যকর করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির সঙ্গে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং অজিত পাওয়ার।

প্রকল্পটি শহর ও শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড (সিডকো)-এর একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। প্রকল্পটি মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের (এমএমআর) জন্য একটি আশীর্বাদ হবে বলে ধারণা৷ এই সেতুর কারণে এবার মুম্বাই থেকে আরও কম সময়ে পুণে, গোয়া, দক্ষিণ ভারতে পৌঁছনো যাবে। এর ফলে পর্যটন শিল্পের আরও উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগে মুম্বাই থেকে নভি মুম্বাই যেতে সময় লাগত দুইঘণ্টা। রাস্তায় থাকত তীব্র যানজট। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ত। দাবি করা হয়েছে, এর পর ২০ মিনিটে মুম্বাই থেকে নভি মু্ম্বাই পৌঁছনো যাবে।

শুধু সময় নয়, খরচও বাঁচবে। বাঁচবে জ্বালানি। দাবি করা হচ্ছে, সড়কপথে মুম্বাই থেকে নভি মুম্বাইয়ে এক এক বার যাতায়াত করতে আগের তুলনায় ৫০০ টাকা কম খরচ হবে।

তবে এই সেতুতে যাতায়াতে বড় অঙ্কের টোলও দিতে হবে। একটি গাড়িকে সেতু দিয়ে এক বার যেতে ২৫০ রুপি টোল দিতে হবে। ওই একই দিনে ফিরতে গেলে আরও কিছুটা বেশি টোল দিতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রস্তাব পাশ করেছে।

এই সেতুতে মোটরবাইক, অটো বা ট্রাক্টর চলাচল করবে না। গাড়ি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি চলবে।