‘নির্বাচনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে শেরপুর’

সুজন সেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার তিনটি নির্বাচনী এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম। আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মোনালিসা বেগম বলেন, নির্বাচনের তারিখ ও তার পরদিন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আনসার-পুলিশসহ কমপক্ষে তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি অবস্থান করবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত চারজন থাকবেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে একটি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং এপার্টি এবং স্ট্যাপ রাইটিং থাকবে।

মোনালিসা বেগম আরও বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ সুন্দর রাখতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি এবং সেনা বাহিনীর সদস্যরা রির্টানিং কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে। আমরা সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো শেরপুর এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দিব। যেন জনসাধারণ উৎসব-আমেজে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরা জেলা পুলিশ তাদের পাশে আছি।

সূত্র জানায়, আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) জেলার মোট পাঁচটি উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন, ৪টি পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এতে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ১ হাজার ৪২৫ আর মহিলা ভোটার ৬ লাখ ১৬ হাজার ৩২১। এদিকে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৩ জন।

নির্বাচনে ৪২৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে দুই হাজার ৫৮৩টি। তার মধ্যে ১৭২টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১৪৩টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তারা তদারকি শুরু করেছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি, সদর ও নকলা উপজেলায় দুই প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন র্যা ব ও ব্যাটালিয়ান আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১২শ’ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপশি ছয়জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।