চতুর্থবারের মত নৌকার মনোনয়ন পেলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি

লিয়াকত হোসাইন লায়ন
ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে চতুর্থবারের মতো নৌকার মাঝি হলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ২৬ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী হিসেবে ফরিদুল হক খানের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পুনরায় তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ায় উল্লাস করতে দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের।

ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দরা জানান, সরকার উন্নয়নমুখী সরকার। মো. ফরিদুল হক খান এমপিকে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন দেওয়ায় উপজেলায় দলমত নির্বিশেষে সবাই তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম বলেন, এমন একজন মানুষ যিনি সকল শ্রেণির মানুষের আশ্রয়স্থল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই আসনটি আবারও উপহার দিতে প্রস্তুত এলাকার সাধারণ ভোটাররা। চূড়ান্ত বিজয় না অর্জন হওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মী মাঠে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

মো. ফরিদুল হক খান উপজেলা আওয়ামী লীগের একবার সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ২০০৮ থেকে টানা সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

মো. ফরিদুল হক খানের ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় ইসলামপুরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর দুটি সেতু চরাঞ্চলকে পুরাঞ্চলে পরিণত করেছেন। অন্যদিকে যমুনার তলদেশ দিয়ে সাব মার্সেবল ক্যাবলের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চলের ৭০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎ দিয়ে আলোকিত করেছেন।

এছাড়াও তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ, শেখ হাসিনা হেলথ টেকনোলজি, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, মাতৃসদন, অডিটরিয়াম, উপজেলা পরিষদ হলরুম, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদী শাসন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ বাশ পাইলিং, বিভিন্ন ভাতাসহ উপজেলা জুড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন করেছেন।

উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আবারো তাকেই বিজয়ী করবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামপুরের জনগণ।