দেওয়ানগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস ও পেট্রল-অকটেন

দেওয়ানগঞ্জে সানন্দবাড়ীতে খোলা অবস্থায় টেবিলে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন। হরতাল অবরোধে সরকারের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা অবাধে বিক্রি করছে দাহ্য পদার্থ।

জানা গেছে, সরকারি বিধি অনুযায়ী গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, অকটেন ও মোবিল বিক্রির জন্য অন্তত ফ্লোর পাকাসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার রাখার নিয়ম থাকলেও শর্ত পূরণ না করে লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা ও স্থানীয়রা।

২১ নভেম্বর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ঝালোর চর, কাঠারবিল, তারাটিয়া, সানন্দবাড়ী, কাউনিয়ার চর, বাঘার চর, পাথরের চর, ডিগ্রীর চর বাজারগুলোতে ইলেকট্রিক দোকান, মুদি দোকান থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, টিনের দোকান, স্যানিটারিসহ বিভিন্ন দোকানের সামনে রাস্তার পাশে এলপি গ্যাস, পেট্রল ও অকটেন সাজিয়ে রেখে সেসব দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানপাটে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে মূল্য রাখা হচ্ছে সরকারি মূল্যের চেয়েও ২০০-৩০০ টাকা বেশি। এক লিটার কিংবা দুই লিটার প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রল ভরে টেবিলের ওপর সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা প্রতি লিটার দাম নিচ্ছে ১৪০ টাকা। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতল ভর্তি পেট্রল কিনতে পারছে। অথচ দাহ্য পদার্থ পেট্রল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। নেই কারো লাইসেন্স।

জামালপুরের ফায়ার সার্ভিস ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানান, এলপি গ্যাস (সিলিন্ডার গ্যাস) বিক্রি করতে হলে বিভাগীয় ইন্সপেক্টর বা জেলা কর্মকর্তার কাছ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এলপি গ্যাস, পেট্রল ও অকটেন বিক্রয় করা নিষেধ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, আমি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। পরির্দশন করে অনুমোদন ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল ও অকটেন বিক্রির বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।