দেওয়ানগঞ্জে রাস্তা সংস্কার না করায় ৩ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
বিল্লাল হোসেন মন্ডল
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও ৩ গ্রামের মানুষের ভাগ্যে জুটেনি পাকা সড়ক। ৩টি গ্রামের মানুষ কাদামক্ত সড়ক নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। গ্রামবাসীর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না। বর্ষাকালে এই সড়কের চিত্র বিপজ্জনক হয়ে থাকায় বিপাকে রয়েছে উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখার চর, শাহাজাদ পুর ও ভালুকপাড়া তিনটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হামিদ পুর থেকে চখার চর নিউ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ে, সবুজ পুর হাক্কি মোড় থেকে চখার চর, ঘাড়ি পাড়া বাজার থেকে চখার চর তিনটি কাচাঁ রাস্তার বেহাল দশা। স্বাধীনতার পর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে ৩ গ্রামের মানুষ। হামিদ পুর থেকে চখার চর পযন্ত একটি কাঁচা সড়ক নির্মাণ হয় প্রায় ৫০ বছর আগে। গ্রামবাসী চলাচল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই সড়ক।তিন গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও স্কুল-কলেজসহ ৪/৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের তিনটি সড়ক। উল্লেখিত ৩ টি গ্রামের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য সড়কটি তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরের সড়ক তিনটি পাকা ও সংস্কার হয়নি। ফলে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে সড়কগুলোর চিত্র আরও বিপজ্জনক আকার ধারণ করে। তখন ছোট বড় কোনো যানবাহনই চলাচল করতে পারে না। গ্রামবাসী বার বার সড়কটি সংস্কার বা পাকাকরণের দাবি করে আসছে। স্বধীনতার ৫০ বছরেও সেই দাবি পূরণ হয়নি।
চখার নিউ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিরুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ার কারণে তিনটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ সহ আমার বিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থী যাতায়াতে দুর্ভোগে পরেছে। এলাকার মানুষের চলাচলের স্বার্থে সড়কটি পাকাকরণ জরুরি। বিদ্যালয়ের সামনে ডোবা টি ভরাট সহ রাস্তা টি পাকা করণ হলে পাল্টে যাবে এ এলাকার মানচিত্র।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহামেদ জানান, রাস্তাগুলোর পাকাকরণের জন্য রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।