অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব মোশারফ ঘুরে দাঁড়াতে চান

ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান পুড়ে পথে বসেছেন ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন। তার বাড়ি সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ঠান্ডারবন্দ গ্রামে।

অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে যাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে তিনি আগের মতো আবার স্বাভাবিক কর্মে ফিরতে চান। কিন্তু পুঁজি না থাকায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি।

জানা যায়, ২৯ জুন রাত ২টার দিকে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রসাধনী ব্যবসায়ী মনির মিয়ার দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুনে ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্যদের ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে মোশারফ হোসেনের ৪টি দোকান পুড়ে যায়। তার সার, কীটনাশক, ডিজেল, মুদিখানাসহ ৪ দোকানের প্রায় দেড় কোটির টাকার বিভিন্ন পণ্যের মালামাল, নগদ টাকাসহ সব পুড়ে যায়।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়ে যাওয়ার পর থেকে নির্বাক হয়ে পড়েছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১২ দিন পার হলেও এখনো ধ্বংসস্তুপ পড়ে রয়েছে। অর্থের অভাবে নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ পর্যন্ত করতে পারছেন না মোশারফ হোসেন। তার দোকানে ৫ জন কর্মচারী প্রতিদিন কাজ করত তারাও এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।

সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে হয়ত নতুন উদ্যোমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন মোশারফ হোসেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মোশারফ হোসেন বলেন, এক রাতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি ব্যবসা করেই সংসার চালাই। আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেল। তিনি বলেন, আমি আবার ব্যবসা শুরু করতে চাই। আমি যেন আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি সেজন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই ।