জামালপুরে এইচআরডি নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক অ্যাডভোকেসি সভা

জামালপুরে এইচআরডি নেটওয়ার্কের সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জাকির হোসেন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে এবং প্রতিটি মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকায় অবতির্ণ হয়ে শান্তপূর্ণ সমাজ বির্নিমানের অঙ্গীকার নিয়ে জামালপুরে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা অ্যাডভোকসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামালপুর সদর সার্কেল মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।

উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে রবিবার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিম। এইচআরডি নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব আরজু আহম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাহসিনা রুমা, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আইনজীবী নাহিদ সামস্, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নাসরিন আক্তার, ডিফেন্ডার লিটন সরকার, রফিকুল ইসলাম, মাসুদ মিয়া, মনোয়ারা পারভীন, রাসেল মিয়া, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

জামালপুরে এইচআরডি নেটওয়ার্কের সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

অনুষ্ঠানে আয়োজনে সহযোগিতা করে উন্নয়ন সংঘ ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। এর আগে সকালে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক জেলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুরে এইচআরডি নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিম সভায় বক্তব্য রাখেন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে সকল ডিফেন্ডারকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া নারী, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধসহ সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি পথনাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এমএসএফ এবং উন্নয়ন সংঘের প্রতি বক্তারা অনুরোধ জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জাকির হোসেন বলেন, আমারা পুলিশে যারা কর্মরত আছি তারাও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকি। অনিয়ম, দুর্নীতি করার কারণে অনেক পুলিশের চাকরি চলে গেছে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে যদি দায়িত্ব পালন করি এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি তাহলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি হবে। আমাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হব।