জামালপুরে ট্রেনেকাটা পড়ে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

ট্রেনেকাটা পড়ে নিহত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরে ট্রেনেকাটা পড়ে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম খান (৫৪) নিহত হয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জামালপুর-ময়মনসিংহ রেলপথের জামালপুর শহরের বন্দেরবাড়ী এলাকায় আন্ত:নগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনেকাটা পড়ে তিনি নিহত হন। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত কামরুল আলম খান টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।

রেলওয়ের জামালপুর জিআরপি থানা সূত্রে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর যমুনা এক্সপ্রেসটি জামালপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে জামালপুর শহরের বন্দেরবাড়ী এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ট্রেনেকাটা পড়ে নিহত হন। তার দেহ কেটে কয়েকখণ্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জামালপুর জিআরপি থানায় জানান। জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রাতেই জিআরপি থানায় নিয়ে যান। নিহত ওই ব্যক্তির পরনে ছিল লুঙ্গি, একটি ফুলহাতা গেঞ্জি ও একটি চাদর।

ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে নিহতের পরিবারের স্বজনরা জিআরপি থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির লাশ শনাক্ত করেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. কামরুল আলম খান। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা হিসেবে সোনালী ব্যাংকের জামালপুর প্রিন্সিপাল অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি। শারীরিক বিভিন্ন রোগে গুরুতর অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় তিনমাস ধরে ছুটিতে ছিলেন তিনি। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেছে জিআরপি পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এ ঘটনায় জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক জামালপুরের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মাহমুদুল হক জানান, ট্রেনেকাটা পড়ে নিহত সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগসহ শারীরিক বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত তিন মাস ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন। পারিবারিক কোন কলহ না থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার বড় ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল আলম খান জানিয়েছেন, ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বাবা হাটতে বেরিয়েছিলেন। রাতেই তিনি জানতে পারেন যে তার বাবা ট্রেনেকাটা পড়ে মারা গেছেন।

জামালপুর জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনেকাটা পড়ে নিহত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল আলম খানের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।