অপহৃতকে ওষুধ খাইয়েও রক্ষা পেল না জরিনা

মানব পাচারকারী চক্রের নারী সদস্য জরিনা আক্তার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

অপহৃতকে ভাতের সাথে অচেতন করার ওষুধ খাইয়েও রক্ষা পেল না মানব পাচারকারী চক্রের নারী সদস্য জরিনা আক্তার (৩৫)। অবশেষে ১৮ জুলাই বিকালে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া মাঝপাড়া এলাকা থেকে ওই নারী সদস্যকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ। এসময় কামারচর জরিনার বাবার বাড়ি থেকে মালা আক্তার নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর র‌্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত এক মাস আগে কিশোরী মালা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর তার বাবা হাসেম আলী সদর থানায় জিডি করলেও মেয়ের কোন সন্ধান পাননি। ১৮ জুলাই দুপুরে জরিনার বাবার বাড়িতে এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জরিনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

অন্যদিকে এক মাস আগে মালা নিজ ইচ্ছায় তার কাছে আসে বলে দাবি করেছে সন্দেহভাজন মানব পাচারকারী দলের সদস্য জরিনা।

এদিকে অপহৃত কিশোরী বলছে, তাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায় জরিনা। সেই সাথে তাকে অচেতন অবস্থায় রাখতে ভাতের সাথে ওষুধ খাইয়ে রাখা হত।

এ সম্পর্কে সদর থানার ওসি মনসুর আহম্মদ জানিয়েছেন, জরিনা ভিকটিমের দূর সম্পর্কের দাদী। তথ্য উদ্ধারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।