দেশে করোনায় ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনের মৃত্যু, সুস্থ ১২৪৫

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৯৬তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন।

গতকালের চেয়ে আজ ৩ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। গতকাল ২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৫০৯ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান ছিল।

২৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক চিকিৎসক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৩ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ১৮১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল ১২ হাজার ৬১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ৯৩২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ১১ হাজার ২৬১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ০২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭৮১টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১০২ ও বেসরকারি ৬৫টিসহ ১৬৭টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৮৮ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৬১৭ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৯৭১টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩০০২ দশমিক ০১ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৬৬৯ দশমিক ০৯ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৪ দশমিক ০৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, আর নারী ১১ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৭১৭ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৯২ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন; যা দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৭ জন; যা দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৭৫ জন; যা ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৮১ জন; যা ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৯০৫ জন; যা ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৪ হাজার ৯৭ জন; যা ৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ১১৮ জন; যা ৫৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪০২ জন; যা ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৩২ জন; যা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫২৯ জন; যা ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৬ জন; যা ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯০ জন; যা ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩৩৮ জন; যা ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৪ জন; যা ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।