ইসলামপুরে ২০ পূজা মন্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা ২০টি পূজা মন্ডপে উদযাপিত হবে। মহালয়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ২২ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠী পূজা হতে শ্রী শ্রী দুর্গামাতার নিত্য পূজার্চ্চনা শুরু করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হরিসভা পূজা মন্ডপে, নিজের সন্তানের মতো অতি ভালবাসায় মাটি দিয়ে তৈরি করছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর মহিষ, সিংহের মৃন্ময় ও শিবের মূর্তি। প্রতিবারের তুলনায় এবারেও বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় নতুনত্ব। এবারে প্রতিমা তৈরিতে রয়েছে বৈচিত্রের ছোয়া।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গোবিন্দবাড়ী পূজা মন্ডপ, পুদ্দারবাড়ী পূজা মন্ডপ, সেনবাড়ী পূজা মন্ডপ, হরিসভা পূজা মন্ডপ, কাসারী পাড়া পূজা মন্ডপ, কামার পাড়া পূজা মন্ডপ, ইংলিশ পট্টি পূজা মন্ডপসহ পৌর শহর ও উপজেলায় ২০টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব উৎযাপিত হতে যাচ্ছে।

রৌদ্র ও বর্ষণের ক্ষান্ত আলো-আঁধারি আকাশে পাখির পালকের মত মেঘরাশির অলস মন্থর সুভাষিত ছন্দে নিরুদ্দেশে ভেসে যাওয়া শারদের অন্বয় ধূসর শুভ্র-সুচিতা, শিউলি কুসুমের উন্মিলীন, হৃদয় আকুল করা সুগন্ধ, তটনী পাড়ের পুষ্পাকাশের অপূর্ব মিলন স্নিগ্ধতা, এই অনুপম স্নিগ্ধ মোলায়েম রূপশ্রী নিয়ে শারদলক্ষ্মীর অনাবিল অনন্দঘন আর্বিভাব। ঢাক ঢোল বংশীর সূরে মোরা গীত গায় আজিকায় বিশ্বজননীয় এসেছে আঙ্গিনায়” “শুভ মেঘে করিছে খেলা শারদ আকাশ আজি উতলা শঙ্খ ঘন্টা বাজিছে মাদল বরুন নৃত্য সায়রে” “আজি শঙ্খে শঙ্খে মঙ্গল গাও জগৎ জননী এসেছে দ্বারে”শিউলি ফোঁটা প্রাতে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি অমূল্য রতন পাল ও সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু চন্দ্র গৌর লিখিত বার্তায় সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। তারা আরো জানান-নিরাপত্তার জন্য পূজা মন্ডপে প্রশাসনের সাথে মত বিনিময় হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান করতে হবে। মহালয়ার আয়োজন এবার হবে সীমিত আকারে হবে। ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীদের জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবস্থা রাখা হবে, মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই পূজা উদযাপিত হবে।

ইসলামপুর সার্কেলের এসএসপি সুমন মিয়া জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১১টি মোবাইল টিম টহল থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি মন্ডপে সর্বক্ষণ খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সকল প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, পূজা উৎযাপনে ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মিটিং হয়েছে। প্রত্যেক পূজা মন্ডপে সেচ্ছা সেবক ও গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই উল্লাস, উদ্দীপনার মধ্যে দিয়েই এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্ত হবে।