বকশীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে

বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বেড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে তাই নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কোন কোন এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড় গ্রাম থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে করে মানুষের চরম দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। বন্যার পানির কারণে পাট খেত, মরিচের খেত, সবজি খেত ও রোপা আমণের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রশাসনের জরিপে কৃষকের ১০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাধুরপাড়া , মেরুরচর, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ২৯০ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা মোকাবেলায় ৪টি ইউনিয়নে ২৫টি ফ্লাড সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানান্তর করা হবে।

এদিকে বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ কুশলনগর গ্রামে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। মেরুরচর ইউনিয়নের মাইছানিরচর, মাদারেরচর, ঘুঘরাকান্দি, ভাটি কলকিহারা, উজান কলকিহারা, শেকের চর,আউল পাড়া, চিনারচর, পূব কলকিহারা, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, কুতুবের চর, উত্তর আচ্চাকান্দি, চর গাজীরপাড়া, নিলেরচর, চর কামালের বাত্তী, চর আইরমারী, বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া, পেরিরচর, বালুরচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা, গোমের চর এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বন্যার্ত মানুষের জন্য ৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত এলাকায় বিতরণের জন্য ১৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার জানান, বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ১৯ মেট্রিক চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।