কবর থেকে তোলা হলো কণার মরদেহ

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সৎমা গলাটিপে হত্যার চারদিন পর কণা আক্তার নামে চার বছরের এক শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ১৪ জুন দুপুর উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া ভুইয়াপাড়া গ্রামে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা নির্বাহী হাকিম এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদের উপস্থিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার মাজালিয়া ভুইয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল কালামের মেয়ে কণা আক্তার। আবুল কালামের প্রথম স্ত্রীর দুই বছর আগে মেয়ে কণা আক্তারকে রেখে মা মারা যান। পরে আব্দুল কালাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন রিনা আক্তারকে। শিশুটির জন্য রিনা আক্তারকে বিয়ে করলেও নিজ গর্ভে সন্তান নিতে না দেওয়ায় স্বামী আবুল কালামের উপর রাগে ক্ষোভে ১০ জুন রাত ৮টার দিকে শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেন সৎমা রিনা আক্তার। পরে শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে দাফন করা হয়।

এনিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে রিনা বেগমকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই রিনা বেগম শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে স্ত্রী রিনা বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। ১৩ জুন রিনা বেগম আদালতে ফৌজদায়ি কার্যবিধি ১৬৪ দ্বারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেয়। পরে জেলা নির্বাহী হাকিম ও সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ১৪ জুন বিকালে লাশ জেলা মর্গে পাঠান।

সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আদালত শিশু কণা আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা নির্বাহী হাকিম এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদের উপস্থিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।